হোম > ছাপা সংস্করণ

হাজার কোটিতে হাসপাতালের চিন্তা

সাইফুল মাসুম, ঢাকা

রাজধানীর মহাখালীতে ৮০ হাজার বর্গফুটের স্থাপনাটি তৈরি হয়েছিল মার্কেটের অবকাঠামো হিসেবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিকল্পনা ছিল কারওয়ান বাজারের আড়ত সেখানে সরিয়ে আনার। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহ ও করোনা মহামারিতে সেই হিসাব পাল্টে যায়। তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে পুরো অবকাঠামোকে রূপান্তর করা হয় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। এখন সেখানেই একটি জেনারেল হাসপাতাল করতে চাইছে ডিএনসিসি। হাজার কোটি টাকা খরচ ধরে তৈরি হচ্ছে প্রকল্প প্রস্তাব।

ডিএনসিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে স্থাপনাটিতে করোনা হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছিল গত বছরের ১৮ এপ্রিল। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ওই সময়ই জানিয়েছিলেন, ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালটি মহামারি শেষে সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে। সেখানে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

করোনা মহামারি কমতে শুরু করায় ইতিমধ্যে ডিএনসিসির মেয়রের কথার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ডিএনসিসির কোভিড হাসপাতালকে অত্যাধুনিক জেনারেল হাসপাতালে রূপ দেওয়ার জন্য নতুন প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এখন এই প্রকল্পটি রয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি)।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থের ১০ শতাংশ দেবে সিটি করপোরেশন, বাকি ৯০ শতাংশে থাকবে বিনিয়োগকারীদের অর্থায়ন। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) বা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়নে এগিয়ে আসবে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটি অত্যাধুনিক জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরের পর রোগীরা সেবা পাবে বেসরকারি হাসপাতালের মতো, তবে ফি বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় অনেক কম থাকবে।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় যখন মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছিল, তখন দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল তৈরি করেছিল ডিএনসিসি। দেশের মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। এখন করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই হাসপাতালটিকে কীভাবে আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে রূপ দেওয়া যায়, সেই চিন্তা করা হচ্ছে।’

জোবায়দুর রহমান জানান, প্রকল্পের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য বিদেশি কিছু এজেন্সিকে এটার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিতে হাসপাতালটি তৈরি করা হবে। সরকার অনুমোদন দিলে হাসপাতালটির অবকাঠামোও অনেক পরিবর্তন হবে।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের অঙ্গীকার হচ্ছে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। বিশেষায়িত সেবা দেওয়ার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। আমরা জেনারেল হাসপাতাল করছি, সেখানে সার্জারি, শিশু, গাইনি বিভাগসহ সব ধরনের সেবা থাকবে।’

জেনারেল হাসপাতাল করার উদ্যোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রকল্পের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হবে। তখন বিনিয়োগকারীদের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু করব।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ