হোম > ছাপা সংস্করণ

খুলনার দাদা ম্যাচ কারখানার যন্ত্রাংশ ও দামি মালপত্র চুরি হয়ে গেছে

হাসানুর রহমান তানজির, খুলনা

খুলনার দাদা ম্যাচ (দেশলাই) কারখানাটি সিলগালা করা হয় ২০১১ সালে। ওই বছরই খুলনায় এক জনসভায় কারখানাটি আবার চালু করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। কারখানাটি আর চালু হয়নি। এদিকে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় কারখানাটির প্রায় সব যন্ত্রাংশ ও দামি মালপত্র চুরি হয়ে গেছে। অধিকাংশ শ্রমিক পাওনা না পেয়ে নতুন কাজের সন্ধানে পাড়ি জমিয়েছেন অন্যত্র।

কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিক নেতা এস এম শাহাদাত বলেন, ‘তিন বছর হইছে, এখানে কোনো পাহারাদার নাই। প্রায় ৬০০ শ্রমিক ছিল। তাঁদের পাওনা পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন মিলের অবকাঠামো আর জমি ছাড়া কিছুই নাই। আশপাশের লোকজন সব মালপত্র নিয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, এখন তো আর ম্যাচ তেমন চলে না। এই কারখানা নদীতীরবর্তী হওয়ায় বহুমাত্রিক যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে এখন আধুনিক মানের শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে সরকার। এতে একদিকে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের ঘাটতি পূরণ হবে, অপরদিকে আগের শ্রমিকেরাও কাজের সুযোগ পাবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি টারমিনেশন পদ্ধতিতে (বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৬ ধারা মোতাবেক বিনা কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি) সব স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করে কারখানাটির পরিচালক প্রতিষ্ঠান ভাইয়া গ্রুপ। পরে শিল্প মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে কারখানাটি সিলগালা করে দেখভালের দায়িত্ব দেয় জেলা প্রশাসনকে।

গত রোববার কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে ভুতুড়ে পরিবেশ। আগাছায় ছেয়ে গেছে গুদামঘর, চিমনি, নিরাপত্তাকক্ষ, উৎপাদনকক্ষ, প্যাকেজিং কক্ষসহ পুরো কারখানা। যেখানে বড় বড় মেশিন রাখা ছিল, সেই কক্ষ পুরোটাই ফাঁকা। ওপরে টিনের চাল অনেকাংশেই নেই। শতাধিক শ্রমিকের পরিবার এখনো মিলের শ্রমিক কলোনিতে বসবাস করছেন।

শ্রমিক তৈয়ব খাঁ বলেন, শ্রমিকদের দীর্ঘ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাদা ম্যাচ কারখানা পুনরায় চালুর ঘোষণা দেন। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় পরও কারখানাটি আর চালু হয়নি। আরেক শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার ৬ লাখ টাকার মতো পাওনা ছিল। পাওনাটা পেলে অনেক উপকার হইতো।’ রহমত মিঞা নামের আরেকজন বলেন, ‘বন্ধ করার সময়ে আমাদের বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে আবার সরকারিভাবে কারখানাটি চালু করা হবে।’

খুলনার নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, এত দিন কারখানাটি বন্ধ রাখা একেবারেই অযৌক্তিক। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, গত মার্চে কারখানার একটি পরিত্যক্ত গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তখন জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস মিলে গুদামের রাসায়নিক অপসারণ করেছিল। মিলটি চালুর ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ