বৈরী আবহাওয়ায় নুয়ে পড়েছে জমির পাকা বোরো ধান। সেই ধান কেটে ঘরে তুলতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। এর মধ্যে যোগ হয়েছে জোঁকের উপদ্রব। জমিতে নামলেই হাত-পায়ে জড়িয়ে রক্ত চুষে নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতে ধান কাটতে জমিতে নামার আগে হাতে-পায়ে মোজা পরে নিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে ৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে এবার চাষ হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলায় বর্তমানে ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। কয়েক দিনের টানা মাঝারি ও ভারী বর্ষণে ফসলি মাঠের অধিকাংশ জমিতে পানি জমেছে। বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধান। এ অবস্থায় কৃষি শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক মিললেও এর জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। অনেক বেশি মজুরি দিয়েও শ্রমিক মিলছে না। এর ওপর জোঁক হয়েছে জোঁকের উপদ্রব। বিশেষ করে তাড়াশের তালম, বারুহাঁস, দেশীগ্রাম, মাধাইনগর ইউনিয়নে ধানের জমিতে জোঁকের উপদ্রব বেশি।
জেলার সলঙ্গা থানা থেকে ধান কাটতে আসা কৃষিশ্রমিক হোসেন আলী, মহর প্রামাণিক, আব্দুল খালেকসহ একাধিক শ্রমিক জানান, পানি আছে এমন জমিতে নামলেই জড়িয়ে ধরছে ছোট-বড় জোঁক। জোঁকের কারণে ধান কাটতে সমস্যা হচ্ছে। বেশির ভাগ শ্রমিক কাপড় ও মোটা পলিথিন দিয়ে তৈরি করা মোজা হাত-পায়ে পরে ধান কাটছেন। অনেকে আবার বাজার থেকে গামবুট কিনে পরে মাঠে ধান কাটতে নামছেন।
তাড়াশ পৌরসদরের আজগর আলী, নজরুল ইসলাম, বাহাদুর ফকিরসহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জোঁক আছে এমন জমির ধান কাটতে চাইছেন না শ্রমিকেরা। কাটলেও পারিশ্রমিক বেশি চাইছেন। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি বাড়তি খরচ হচ্ছে।