মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) একাংশের সদস্যরা। গতকাল রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বায়রা সদস্যবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সাবেক সভাপতি নূর আলী বলেন, গত ডিসেম্বরে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও জনশক্তি রপ্তানির সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের দিকনির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও একটি সিন্ডিকেট আগের মতোই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে দুটি চক্র ২৫ সদস্যের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে সরকার অনুমোদিত ২৫০টি বৈধ এজেন্সিকে সাব-এজেন্ট বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হলে বিদেশগামী কর্মী ও এজেন্সির মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যে প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ করা হয়; সেই একই নিয়মে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের দাবি জানান নূর আলী।
কর্মীরা যাতে স্বল্প খরচে স্বচ্ছতার সঙ্গে মালয়েশিয়া যেতে পারেন, সে জন্য সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী।
বায়রার আরেক সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, অপপ্রচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা অন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির এজেন্সি হিসেবে তুলে ধরে নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চাইছে। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে সরকার যেসব রিক্রুটিং এজেন্সিকে লাইসেন্স দিয়েছে, তাদের সবারই সমান মর্যাদা।