হোম > ছাপা সংস্করণ

বৃক্ষনিধন বন্ধ হোক

সম্পাদকীয়

প্রকৃতি সুদে-আসলে প্রতিদান দিয়ে থাকে। ফলে ষড়্‌ঋতুর দেশে দেখা যাচ্ছে নানা পরিবর্তন। একসময় বৈশাখ মানে ছিল কালবৈশাখী, কিন্তু এ বছর কোনো কালবৈশাখীর দেখা পাওয়া যায়নি; বরং পুরো বৈশাখে ছিল প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। দেশের অধিকাংশ অঞ্চল পুড়েছে তাপপ্রবাহে। এসবই প্রকৃতির নিষ্ঠুর প্রতিদান। অবশ্য পরিবেশ বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক করে আসছেন এ বিষয়ে।

গাছপালা কাটার কারণেই মূলত প্রকৃতি বিরূপ হয়ে উঠছে। আমাদের দেশে গাছ লাগানো নয়, যেন কাটার হিড়িক পড়েছে। আর এই কর্তনযজ্ঞে জড়িত থাকেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। রোববার আজকের পত্রিকায় নওগাঁর ধামইরহাটের ঐতিহ্যবাহী আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের শালবাগান উজাড় করা নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র গাছ কাটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগেও উন্নয়নের নামে এই বনের পুকুরের চারপাশের গাছ কেটে ফেলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেই বন কর্মকর্তাদের কিছুই হয়নি। রক্ষকই ভক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ কথাটি শুধু এই বনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়; বরং সারা দেশেই এমনটি ঘটছে।

পরিবেশবিদদের মতে, একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই। এ অবস্থার মধ্যেও আমরা বিভিন্ন সময় পত্রিকার মাধ্যমে খবর পাই ‘বন উজাড় করা হচ্ছে’। আর এসব কাজে বারবার সরকারি বন কর্মকর্তাদের নাম আসে।

দেশের বনাঞ্চল দিন দিন সংকুচিত হয়ে পড়ছে। ফলে জলবায়ুর ভারসাম্যহীনতা এবং পরিবর্তন ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। বনাঞ্চল জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। আর গাছপালা বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনের গাছপালা বায়ুমণ্ডলে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে গ্রিনহাউস গ্যাস গ্রহণ করে। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের নির্গমন হ্রাসে সহায়তা করে।

আমাদের দেশের স্থানীয় পানিচক্রের জন্যও গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ, গাছপালা বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ফিরিয়ে দেয়। এতে ভূগর্ভে পানির প্রবাহ এবং পানির মজুত স্বাভাবিক থাকে। এ কারণে আমরা সহজে নলকূপের মাধ্যমে পানি পাই। আবার নদীর কাছে এবং তীরবর্তী এলাকায় গাছপালা না থাকলে নদীভাঙন দেখা দেয়। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের বসতি হারাতে হয়। বন উজাড়ের ফলে বিভিন্ন বন্য প্রাণী হারাচ্ছে তাদের আবাস। এতে বিলুপ্তি ঘটছে প্রাণিকুলের।

আমাদের দেশে সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে। প্রাণবৈচিত্র্য এবং নানা ধরনের গাছ রক্ষা করা এর উদ্দেশ্য। পাশাপাশি দেশের পরিবেশ রক্ষা করাও এসব বনাঞ্চল করার অন্যতম লক্ষ্য। সরকার প্রতিবছর বন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেট দিয়ে থাকে। বনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা লোভের বশে বন ধ্বংস করছেন।

বন ধ্বংসের কুশীলবদের বিচারের মাধ্যমে আইনের সম্মুখীন করে শাস্তি দেওয়া না হলে সংরক্ষিত বন রক্ষা পাবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ