মধুপুরে বনের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে শালবনের সঙ্গে মানানসই দেশি প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে বন বিভাগ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীর খাদ্যের সংস্থানসহ টেকসই বনের জন্য বেত ও ভেষজ বৃক্ষের সমন্বয়ে বাগান করা হচ্ছে। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের এ বনায়ন কার্যক্রমে মধুপুর শালবনের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল বন বিভাগের মধুপুরের দোখলা রেঞ্জের অরণখোলা মৌজায় সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ হেক্টর দেশীয় ফলদ ও ৫০ হেক্টর বেত বাগান করা হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের আওতায় দখল রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের সংস্থান, নিরাপদ আবাস্থল বনের মধ্যে বেড়া হিসেবে বেত রোপণ ও ভেষজ গাছের সমন্বয়ে এ বাগান করা হয়েছে।
বনের ঐতিহ্য ফেরাতে ও পশু খাদ্যের জন্য দেশিও প্রজাতির লটকন, জলপাই, গোলাপজাম, তিতিজাম, ঢাকিজাম, কালোজাম, আমলকী, কাঠবাদাম, তেঁতুল, চাপালিশ, বহেড়া, পেয়ারাসহ নানা প্রজাতির ফলদের ১০০ হেক্টর বাগান করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাগানে ফুল ও ফল আসতে শুরু হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর এ বাগান দেখতে টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জহিরুল হক, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন বাগান পরিদর্শন করেন।
দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ জানান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পশু খাদ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য ফলদ বাগান করা হয়েছে। শালবনের জীবন্ত বেড়া হিসেবে বেত বাগানও করা হয়েছে। বাগানে ফুল ফল ধরা শুরু হয়েছে। এ বাগান সমৃদ্ধ হলে মধুপুর বন তাঁর ঐতিহ্য ফিরে পাবে।