লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উদ্ধারের পর নিলামে বিক্রি করা চারটি ভারতীয় গরু আবারও আটকের অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। পাটগ্রাম শুল্ক গুদাম কর্তৃপক্ষের মতে, একবার নিলাম হওয়া গরু দ্বিতীয়বার আটক ও নিলামে দেওয়ার নিয়ম নেই।
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ১০ থেকে ১২ দিন আগে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ১৫টি ভারতীয় গরু আটক করেন। আটক গরুগুলো গত ২৩ জানুয়ারি যৌথভাবে নিলাম দেয় বিজিবি ও পাটগ্রাম শুল্ক গুদাম। ওই দিন সরকারি নিয়ম মেনে নিলাম করা গরুগুলো সর্বোচ্চ ডাক ৬ লাখ ৫০ হাজার ১৩৩ টাকায় কেনেন ওই উপজেলার রশিদুল ইসলাম। নিলামে নেওয়া গরুগুলো থেকে গত রোববার পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ হাটবাজার থেকে ৪টি গরু ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায় কুমিল্লা জেলার মনির হোসেন কেনেন। কেনা গরুগুলো পিকআপে করে নিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় পাটগ্রামের কুচলিবাড়ি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা আটক করেন। এ সময় ক্রেতা নিলাম ডাকের কাগজ ও পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ হাটবাজারে ক্রয়ের রসিদ দেখাতে চাইলে বিজিবি কাগজ না দেখে উল্টো ক্রেতাকেসহ আটকের হুমকি দেয় বলে মনির হোসেন দাবি করেন। গতকাল সোমবার কুচলিবাড়ি ক্যাম্পে আটক গরুগুলো আবারও নিলাম দেওয়া হয়।
পাটগ্রাম শুল্ক গুদামের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘নিলামে নেওয়া গরুর কাগজ থাকলে আবারও অবৈধ বলে ওই গরু ধরার কোনো সুযোগ নেই।’
গরু ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, ‘নিলামের কাগজ ও হাট থেকে ক্রয়ের রসিদ দেখাতে গেলে আমাকেও গ্রেপ্তারের ভয় দেখায় বিজিবি। ধারকর্জ করে কেনা গরু নিলাম দেওয়ায় আমি শেষ হয়ে গেলাম।’
রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এফ এম আজমল হোসেন খান বলেন, ‘আটক গরুগুলোর দাবিদার নিলামের পক্ষে কোনো কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি।’