হোম > ছাপা সংস্করণ

মিছিলে গেলেই টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সুফিয়া বেগম রাজশাহী নগরীর উপশহরে গৃহকর্মীর কাজ করেন। আগে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় কাজ করতেন। এখন বিকেল হলেই বের হওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয় তাঁর। সুফিয়া ছোটেন ভোটের মাঠে। অন্য সব নারীর সঙ্গে স্লোগান দেন। মিছিল শেষে সুফিয়ার হাতে আসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এখন বাড়তি আয় হচ্ছে তাঁর।

গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও এবার নির্বাচনের প্রার্থী কামাল হোসেনের মিছিলের সামনে দেখা যায় সুফিয়াকে। মিছিল শেষে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সুফিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি একজন নারী দলনেতার অধীনে মিছিলে যান। একেক দিন একেক ওয়ার্ডে ডাক পড়ে। মিছিল করলে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা এখন এভাবেই টাকা ওড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে কে কত বেশি নারী-পুরুষ নিয়ে মিছিল করতে পারেন, সে প্রতিযোগিতা চলছে। আর এ জন্য কদর বেড়েছে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত নারীদের। তাঁদের দিয়ে মিছিল করানো হচ্ছে। এসব মিছিলে শিশুদের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো। তারাও পাচ্ছে টাকা।

মিছিল করার জন্য টাকা দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গতকাল শনিবার দুপুরে কামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 
জানতে চাইলে জেলা সুজনের সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, আগে কাউন্সিলর হতেন তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিকেরা। এখন যাঁর হাতে পয়সা হয়, তিনিই কাউন্সিলর হতে চান। তা হলে তো ভোটের মাঠে টাকা উড়বেই। নির্বাচন কমিশনকে এগুলো শক্তভাবে দেখতে হবে। তা হলে একজন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনার কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। মিছিল করার কারণে টাকা দেওয়া হচ্ছে, এটিও অজানা।

তবে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ