দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়ার জন্য চৌদ্দগ্রাম বাজার ও উপজেলা কমপ্লেক্সে দুটি বেসিন স্থাপন করা হয়। জনস্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে তৈরি এসব বেসিন বর্তমানে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে বেসিনের ব্যবস্থা করা হয়। এগুলো নিয়মিত সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পানির সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই এ বেসিনগুলো পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কোথাও বেসিনগুলোতে সাবান ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার তো দূরের কথা পানির সংযোগও কেটে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে তৈরি করা বেসিনেও পানির সংযোগ নেই। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় ময়লা জমে রয়েছে। এখন কেউ চাইলেও সেগুলো ব্যবহারের অবস্থায় নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে দুটি বেসিনে পানির সংযোগ আছে। কিন্তু সাবানের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে হাসপাতালে আগত রোগী ও তাঁদের স্বজনরা তা ব্যবহার করতে পারছেন না। হাসপাতালে আগত রহিমা বেগমকে হাত ধুয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘শুধু পানি দিয়ে হাত ধুলে তো করোনা মরবে না। এখানে হাত ধুতে এসেও বেসিনগুলোতে কোনো সাবান পাচ্ছি না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, ‘সাবানের ব্যবস্থা প্রতিদিনই করা হয়। কিন্তু শেষ হয়ে গেছে। এখন আবার সাবানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব বেসিন তৈরি করে দেওয়া। রক্ষণাবেক্ষণ ও পানির সংযোগ আছে কি না এটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়।’
ইউএনও এস এম মনজুরুল হক বলেন, ‘উপজেলাজুড়ে আরও নতুন বেসিন স্থাপন করা হবে। যেগুলো তৈরি করা হয়েছে বা ব্যবহার অনুপযোগী তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’