হোম > ছাপা সংস্করণ

এসিল্যান্ড, শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ

মহসিন মোল্যা, শ্রীপুর (মাগুরা)

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের জমি আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে সীমানা নির্ধারণ চেষ্টার অভিযোগে দুজন সরকারি কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন আদালত।

শোকজ করা কর্মকর্তারা হলেন শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কণ্ডু ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন । মাগুরা জজ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী বিচারক রোমনা রোজী গত বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়ের আলোকে আদালতের আদেশ অমান্য করে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কেন জারি হবে না এ বিষয়ে জানতে এসিল্যান্ড ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাগুরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার সুষমা দত্ত আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার বাদী মো. আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তি মাগুরার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গত বুধবার মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কণ্ডু ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লুর রহমান ও সভাপতি লাভলু মোল্লাকে বিবাদী করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, জমিটি বাদীর বাবা-দাদারা বিদ্যালয়কে অনেক আগেই দান করে গেছেন। যার দলিল বিদ্যালয়ের নামে। ম্যাপ অনুযায়ী বিদ্যালয়ের জমি ৪৩ শতাংশ। বিদ্যালয়ের জমি অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার বাদী মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘জমিটি আমাদের কেনা সম্পত্তি। সরকারের সঙ্গে এ জমি সংক্রান্ত আদালতে মামলা হয়। আদালত মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেয়। কিন্তু জমিটি বারবার অবৈধ দখলের চেষ্টা চলছে। গত সোমবার এসিল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তা সশরীরে উপস্থিত হয়ে সীমানা নির্ধারণ করেন। এসিল্যান্ড আমাকে মোবাইলে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এমনকি আমাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁর অফিসে যেতে বলেন। ভয়ে যাইনি, তবুও বারবার ফোন করেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিস্ত্রি আমাকে ফোন করে দেওয়াল নির্মাণকাজের বিষয় জানান।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কণ্ডু বলেন, ‘আদালতের শোকজের কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। শোকজের জবাব দিবো। আমি বাদীকে কোনো হুমকি দিইনি। সে যা বলছে সব মিথ্যা।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কোনো অনিয়মের চেষ্টা হয়নি। বরং এত দিন অনিয়ম হয়ে এসেছে। আর তাই মামলার আবেদন করা হয়েছে। শোকজের জবাব দেওয়া হবে। দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, স্কুলের দেয়াল নির্মাণের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্কুলের দেয়াল নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। আইনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ