অভিবাসী দিবসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মালদ্বীপ থেকে ছুটিতে দেশে এসে কর্মস্থলে ফিরতে না পারা প্রবাসী রুবেল মিয়া।
গৌরনদী পৌরসভার গেরাকুল গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া বলেন, ‘২০১২ সালে পৌরসভা থেকে জন্মসনদ নিয়ে পাসপোর্ট করে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছি। সেখানকার একটি আবাসিক হোটেলে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছিলাম। গত ৩০ আগস্ট ছুটিতে বাংলাদেশে আসি। আমার পাসপোর্টে লাগানো ভিসার মেয়াদ রয়েছে এক বছর। ছুটি শেষে এ মাসের ৩ ডিসেম্বর আমার মালদ্বীপে ফেরার কথা ছিল।’
বিমানের টিকিটের সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় পাসপোর্টে চার মাসের মেয়াদ রয়েছে। নতুন নিয়মে কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। তাই তাঁকে জানানো হয় পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য।
এরপরই শুরু হয় ভোগান্তি। প্রথম পর্যায়ে আগের হাতে লেখা জন্মসনদ ডিজিটাল করাতে গিয়ে দেখেন তাঁর নামে পৌরসভার সার্ভারে কোনো এন্ট্রি নেই। এমনকি তাঁর আগের জন্মসনদের সিরিয়ালে অন্য এক ব্যক্তির নাম এন্ট্রি করা হয়েছে। পরে নতুন করে জন্মসনদ তুলে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়াতে গেলে জানানো হয় এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধ, তাই ই-পাসপোর্ট করাতে হবে। কিন্তু তাঁর জন্মসনদ ও পাসপোর্ট অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রের মিল না থাকায় দ্বিতীয় দফায় ভোগান্তিতে পরতে হয় তাঁকে। বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হলেও কয়েক দিন পর তা খারিজ করে দেওয়া হয়।