নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আর এই দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
কালাইয়ের পুনটের হাট ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, চিকন চাল কাটারিভোগ ৫০-৫৫, বাঁশপাতালি ৬০, সুগন্ধি চাল (আতব) খোলা ৯০ ও প্যাকেটজাত ১০০-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, পাম অয়েল ১৩৮-১৪০ ও সুপার ১৪২-১৫০ টাকা। সরিষার তেল প্রতি কেজি ১৭০-১৮০ টাকা। মসুর ডাল বিদেশি প্রতি কেজি ৯০ টাকা ও দেশি ১১০-১১৫ টাকা। চিনি খোলা ৮০ টাকা, প্যাকেটজাত ৮৫ টাকা।
বাজার করতে আসা ফিরোজ হোসেন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মধ্য, নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ। এখন সংসার চালানো যেন তাঁদের দায় হয়ে পড়েছে। আয়-রোজগার বাড়েনি কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। একবার যে জিনিসের দাম বাড়ে, তা আর কমে না।
দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ঠিকমতো বাড়িত তিনবেলা ভাত জোটে না। কৃষিকাজ করে সংসার চালায়। আবার দিনের পর দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়তেই আছে।’ জাহাঙ্গীর হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘ইঙ্কা করে চলতে থাকলে না আমাদের মতো দিনমজুরদের না খেয়ে মরতে হবে।’
ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এভাবে দিনের পর দিন দাম বাড়ায় আমাদের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। না পারছি মরতে, না পারছি ভালোভাবে বাঁচতে।’
এদিকে চাহিদার তুলনায় সবজি আমদানি কম হওয়ায় কিছুটা দাম বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম।
মুদি দোকানি মশিউর রহমান বলেন, বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার কারণে তাঁদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিন্ডিকেটের দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
জয়পুরহাট জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য মনিটরিং করা হয়। তবে মনিটরিংয়ে পণ্যের বেশি দামের তফাত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।