হোম > ছাপা সংস্করণ

মুই কোনডা উইথড্র করমু?

বিরস

অনেক বছর আগের কথা। একজন রাজনৈতিক নেতা জনগণকে উদ্দীপিত করার জন্য জনসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে বললেন, ‘রাশিয়া জাগছে, চীন জাগছে, ব্রিটেন, জাপানও জাগছে আর আমেরিকা তো জাইগগাই আছে। কিন্তু আপনেরা কবে জাগবেন? সক্কলের...বাঁশ দিলে?’

নেতার কথায় জনতার মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলো। অনেকেই সভাস্থল ত্যাগ করতে শুরু করলেন।

নেতার একান্ত সহকারী তাঁর কানে কানে বলল, ‘স্যার, আপনি ওই শব্দটা উইথড্র করেন।’

নেতার জিজ্ঞাসা, ‘মুই কোনডা উইথড্র করমু,...না বাঁশডা?’

খ. হুরমত আলী খন্দকার একজন ডাকসাইটে রাজনৈতিক নেতা। তাঁর দল ছোট, কিন্তু তিনি নেতা অনেক বড়। তাঁর দলের আর কারও নাম মানুষ কখনো শুনেছে বলে জানা নেই। তাতে কী? তিনি শুধু একটি দলের নয়, একটি জোটেরও তিনি অন্যতম সদস্য। তো, এই নেতা তাঁর ছেলেকে শিখিয়েছেন, কেউ নাম জানতে চাইলে নিজের নাম বলার সঙ্গে সঙ্গে যেন এটাও বলে যে, আমি রাজনীতিবিদ হুরমত আলী খন্দকারের ছেলে।

কিন্তু ছেলেটির মা আবার ছেলেকে অন্য রকম শিক্ষা দিতে চান। ছেলে রাজনীতির পথে হাঁটুক, বাবার মতো অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার ধান্দা শিখুক, অহংকারী হোক—এসব চান না। তাই তিনি ছেলেকে বলেছেন, কেউ তার নাম জানতে চাইলে যেন শুধু নিজের নামই বলে, বাবার নাম বলার দরকার নেই।

একদিন নেতার সঙ্গে একজন দেখা করতে এসে নেতার ছেলেকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি হুরমত আলী খন্দকার সাহেবের ছেলে?

ছেলেটি জবাব দেয়, বাবা তো তা-ই বলতে বলেন, কিন্তু মা যে মানা করেন!

গ. দুই বন্ধু কথা বলছিল। বিষয় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। তবে মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে প্রথম বন্ধু দ্বিতীয় জনের কাছে জানতে চায়, একটি পত্রিকা দিয়ে কি একটি আস্ত হাতি মোড়ানো সম্ভব?

দ্বিতীয় বন্ধু কিছু না ভেবেই জবাব দেয়: অবশ্যই, যদি সেই পত্রিকায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার বক্তৃতা ছাপা হয়।

ঘ. খোশগল্পে মেতে উঠেছে কয়েক বন্ধু। এর মধ্যে এসে গেল রাজনীতি ও দুর্নীতির প্রসঙ্গ। তার মধ্যে এক বন্ধু বলল, ‘বল তো, ডাকাত আর রাজনীতিবিদের মধ্যে তফাত কোথায়?’

‘খুব বেশি তফাত তো দেখি না। আগে ডাকাতেরা ডাকাতি করে জেলে যেত আর রাজনীতি করে রাজনীতিবিদদের জেলে কাটাতে হতো। এখন জেল থেকে বেরিয়ে ডাকাতও রাজনীতিবিদ হয়ে যায় এবং রাজনীতির নামেই বড় বড় ডাকাতি হয়।’

ঙ. একবার দোলপূর্ণিমার দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের সাক্ষাৎ হয়। পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর দ্বিজেন্দ্র লাল রায় হঠাৎ তাঁর জামার পকেট থেকে আবির বের করে কবিগুরুকে রাঙিয়ে দিলে তিনি কোনো আপত্তি করলেন না। রাগও করলেন না; বরং হাসি মুখে বললেন, ‘এত দিন জানতাম দ্বিজেনবাবু হাসির নাটক ও গান লিখে সবার মনোরঞ্জন করে থাকেন। আজ দেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়, দেহরঞ্জনেও তিনি সমান পারদর্শী।’

চ. একজন স্বৈরশাসক মৃত্যুশয্যায় শায়িত। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একজন ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সহযোগী তাঁর শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন। কিন্তু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে না। স্বৈরশাসক আয়তদৃষ্টিতে দেখলেন। তারপর সহকর্মীকে সান্ত্বনা দিয়ে ফিসফিস করে বললেন, ‘কেঁদো না। তোমার আনুগত্য দেখে আমি মুগ্ধ। কতজনের তো কত উপকার করলাম অথচ আজ তুমি ছাড়া আমার শয্যাপাশে আর কেউ নেই। আমি আমার বিষয় সম্পত্তি, গাড়ি-বাড়ি, জমিজমা সবকিছু তোমার নামে লিখে দিচ্ছি।’

গদগদ হয়ে সহযোগী বলল, ‘ধন্যবাদ লিডার, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনার জন্য এই মুহূর্তে যদি সামান্য কিছুও করতে পারতাম!’

অতিকষ্টে শ্বাস নিয়ে স্বৈরশাসক বললেন, ‘তুমি এই মুহূর্তে দয়া করে আমার অক্সিজেন টিউব থেকে তোমার পা সরাও। না হলে তো দানপত্রে সইও করতে পারব না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ