আজ মঙ্গলবার পয়লা অগ্রহায়ণ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। কৃষকেরা আমন ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। নতুন ধানের চালের গুঁড়া করতে, মুড়ি ভাজতে এবং ভোরে উঠে শীতের ভাপা পিঠা তৈরি করার সব প্রস্তুতি গতকাল সোমবারই শেষ হয়েছে।
নবান্নকে সামনে রেখে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশের পল্লিতে গৃহিণীরা বাড়িঘরে লেপন ও আলপনা এঁকেছেন। বাড়িতে বাড়িতে ভাপা পিঠে, কুসলি পিঠে, পুলি, পায়েস, মুড়ি, চিড়া তৈরির ধুম পরেছে। নতুন ধানের ম-ম সুগন্ধে যেন বাড়ির আঙিনা ভরে উঠেছে।
গ্রামবাংলায় কৃষকেরা নবান্ন উৎসব পরিপূর্ণভাবে উদ্যাপনের জন্য মেয়ে-জামাই, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আমন্ত্রণ করবেন। তাঁদের নতুন চালের পোলাও, পিঠা, পায়েসসহ রকমারি নিত্যনতুন খাবার তৈরি করে ভূরিভোজের আয়োজন চলছে।
তাড়াশ পৌর এলাকার বাসিন্দা রাহেলা বেগম (৪৫) জানান, প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনেই ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম পরে যায়। শীতের সময় ভাপা পিঠা খেজুরের পাটালি গুড় দিয়ে খেতে খুবই মজা। তাই গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই চাল গুঁড়া করতে বসেছেন তিনি।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের পৌষার গ্রামের আদিবাসী নারী গৃহিণী আঁখি রানী জানান, বাড়িতে নতুন ধান এসেছে। জামাই-ঝি নিয়ে আনন্দের সঙ্গে পিঠে খাওয়ার রেওয়াজটি পূর্ব পুরুষ থেকেই চলে আসছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি তপন গোস্বমী বলেন, প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন নতুন ধানকে বরণ করার জন্য নবান্ন উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। এ উৎসবে সব ধর্মের লোকজন ঘরে ঘরে নতুন চালের পোলাও, পিঠা, পায়েসসহ হরেক রকম নতুন খাবার তৈরি করে থাকেন।