হোম > ছাপা সংস্করণ

চেয়ারম্যান-সচিব অপসারণ

যশোর প্রতিনিধি

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব আলী আর রেজাকে অপসারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি শিক্ষা বোর্ডটির ৩৬ চেক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। যেখানে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে।

এ দিকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীবকে। আর সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীবকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। এ দিকে সন্ধ্যায় সচিব হিসেবে অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক সরকারের নিয়োগের তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র।

অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, সচিবসহ ওই জড়িত একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে।

এরপর থেকেই বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলছিল।

গত ১৪ নভেম্বর এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানি ৫৮ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন জমা দেন। গত ৭ অক্টোবর প্রথম বোর্ডের জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এর পর একে একে বেরিয়ে আসে বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা।

কে এম রব্বানি সে সময় জানান, আত্মসাতের ঘটনায় ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলম জড়িত রয়েছেন। আমরা জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। ৩৬টি চেকের মাধ্যমে প্রায় সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে।’

কে এম রব্বানি সে সময়ে বলেন, ‘প্রতিবেদনে আমরা কিছু সুপারিশ করেছি। বিশেষ করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিয়ে। সুপারিশগুলো গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতে এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটবে না।’

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলমের নামে মামলা করেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ