দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার ও গণজমায়েত।
মিঠাপুকুরে কয়েক দিন ধরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচণ্ড ভিড়। তাঁরা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে আসছেন। তাঁদের অধিকাংশই মাস্ক ব্যবহার করছেন না, মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। যার ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
মিঠাপুকুরের ১৭ ইউপি নির্বাচনের জন্য এখন চলছে ভোটের মাঠে লড়তে আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান। আজ বুধবার এই জমা শেষ হচ্ছে।
শেষ সময়ে এসে দুই দিন ধরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রার্থীসহ কর্মী-সমর্থকদের সমাগম বেড়েছে। শত শত মানুষের পদচারণায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। চত্বরের সর্বত্রই গিজগিজ অবস্থা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো সুযোগ নেই। কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়েও দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে বেশি লোকের দরকার নেই। তবুও প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আসায় ভিড় বেড়েছে। আজ ও আগামীকাল দুই দিন জনসমাগম আরও বেশি হবে।’
নির্বাচনী উৎসব যাতে করোনার কারণে আনন্দহীন হয়ে না পড়ে এ জন্য সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান আবদুল হান্নান।
জাপা প্রার্থী: মিঠাপুকুরের ১৭ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মধ্যে ছয়টির জন্য জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়ন পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা জাপার আহ্বায়ক মিলন চৌধুরী।
লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন পায়রাবন্দে সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, মির্জাপুরে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম আজম মিলন, দুর্গাপুরে সরোওয়ার্দী মিয়া, লতিবপুরে রবিউল ইসলাম, কাফ্রিখালে হাফিজুর রহমান, বালারহাটে বজলার রহমান ও বড়বালায় মোস্তাফিজার রহমান।
মিঠাপুকুরের অপর ১১টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা জাপা নেতা ফারাজ উদ্দীন।
সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ১৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারি। আর ২৩ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগের ছয় ধাপে রংপুরের সাত উপজেলায় ইউপি নির্বাচনের তফসিল পাওয়া গেলেও বাকি ছিল শুধু মিঠাপুকুর। এ নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল। এমনকি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে অবশেষে এখানে ভোটের তফসিল পাওয়া যায়।