পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডির একটি পাকা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজের শুরুতেই শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সঠিকভাবে বালু দিয়ে বেট তৈরি না করে ও নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে নির্মাণকাজ। এতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৬ টাকা ব্যয়ে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ থেকে ডোকলাখালী স্ট্যান্ড পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করছে পটুয়াখালীর মেসার্স রুনাথ এন্টারপ্রাইজ।
সরেজমিন দেখা যায়, একেবারে নিম্নমানের ইটের খোয়া এবং সঠিকভাবে বালু দিয়ে বেট তৈরি না করে চলছে নির্মাণকাজ। এ ছাড়া সড়কের পাশের জমি কেটে সোল্ডার তৈরি করা হচ্ছে। ফলে যেকোনো সময় রাস্তা ধসে পড়তে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছেন। একাধিকবার বললেও তিনি এভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় আবুল হোসেন ও ফারুক খান বলেন, ‘এলজিইডির যোগসাজশে ঠিকাদার সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করছেন। আমরা সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী দিতে নিষেধ করলেও তাঁরা শুনছেন না।
এলাকাবাসীর পক্ষে আবুল হোসেন, মহসিন ও ফারুক খান বলেন, এলজিইডির যোগসাজশে ঠিকাদার সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করছেন।
পটুয়াখালীর মেসার্স রুনাথ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাজিব হোসেন বলেন, ‘আমরা শিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি। ১ লাখ ইট কিনলে ২০ হাজার ইট খারাপ হতেই পারে।
কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুনেছি কিছু খারাপ ইট আনা হয়েছে। সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান বলেন, পরিদর্শন করে যদি দেখা যায়, সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।