বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা এখন আলুর খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। খেতে পানি আর সার দেওয়া, কীটনাশক ছিটানো, নিড়ানি দেওয়াসহ আলুর জমিতে অনেকটা সময় দিচ্ছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর গাছ খুব ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে। তাই কৃষকেরা আলু চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আলু চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের বিরপলী গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমি ছয় বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলুর চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত আলুর গাছ ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি ফলনও ভালো হবে।’
দোহার গ্রামের কৃষক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, এক বিঘা জমিতে আলু চাষে প্রায় ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৯০ থেকে ১১০ মণ আলু উৎপাদন হয়। তাতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার আলু বিক্রি করা যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, ‘আলুচাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য মাঝেমধ্যে আলুর গাছে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটাতে হবে।’