ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে পিরোজপুরের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পিরোজপুরে ২৬ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ১৯৩ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতীয় ধানের চাষ করা হয়েছে। আর ১১ হাজার ৮২৫ হেক্টরে জমিতে উফশী ও ৫২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৩১ টন। বোরো চাষে আগ্রহ সৃষ্টি ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৪ হাজার বিঘায় প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার রায় বলেন, ‘হঠাৎ করে অশনি ঝড়ের খবরে আমরা শঙ্কিত। কেন না জমির ধান ৯০ শতাংশই ইতিমধ্যে পেকে গেছে। আমরা জেলার সব উপজেলা কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের যত দ্রুত সম্ভব ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি। ইতিমধ্যে জেলার প্রায় ৬০ ভাগ জমির বোরো ধান কাটাও হয়ে গেছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের মাঠের তেমন ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টিতে ক্ষতি না হলে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে এবার। বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটতে সদরের শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামে কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা ধান কাটা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে একরপ্রতি ১০ হাজার টাকা খরচ হয় ও সময় বেশি লাগে। কিন্তু কম্বাইন হারভেস্টের মাধ্যমে খুব দ্রুত ধান কাটা যায়। আর প্রতি একরে খরচ হয় মাত্র ২ হাজার টাকা।’