তারাকান্দায় শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা জমিতে ধানের চারা রোপণ করছেন। এ বছর এলাকার অধিকাংশ কৃষক ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। এবার আগাম চাষ করে বাড়তি মুনাফা পাবেন বলে আশা করছেন তাঁরা।
রামপুর গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নিজেদের জমি থাকায় আগাম চাষ শুরু করেছি। এতে ধানও আগে কাটা পড়বে এবং দামও বেশি পাওয়া যাবে। এ বছর এলাকার কৃষকেরা ব্রি ধান-৮১, ৮৮, ৮৯-সহ বিভিন্ন জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করছেন।’
সরেজমিনে দেখা যায়, তারাকান্দা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামজুড়ে এখন চলছে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ। কৃষকদের কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, আবার অনেকেই চারা রোপণ করছেন। আবার কেউ জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত রয়েছেন।
আগাম তৈরি বীজতলা থেকে এবারও এই অঞ্চলের কৃষকেরা আগাম চারা রোপণের কাজ শুরু করেছেন। খেত প্রস্তুত করার লক্ষ্যে জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে এলাকার অনেক কৃষকের।
চাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘জমি প্রস্তুত করে চারা উত্তোলন করছি জমিতে রোপণের জন্য। বোরো ফসলটি ভালো হলে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারব। তাই যত্ন সহকারে জমি তৈরি করে চারা রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফসল পাব বলে আশা রাখি।’
কৃষক নছিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার নিজের জমি নেই, তাই বর্গাচাষ করি। এরই মধ্যে চারা তৈরি হয়ে গেছে এবং জমি চাষ শুরু করেছি।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার ব্লকে কৃষকদের সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার, জৈব-অজৈব-গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ, পোকামাকড় দমনসহ কৃষকদের নানাবিধ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
তারাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিনিয়ত কৃষকদের পাশে থেকে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।