পীরগঞ্জের দুই সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না উপজেলার কৃষকেরা। সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধনের দিন প্রতিটি গুদামে এক মেট্রিক টন করে ধান কেনা হয়েছিল। তারপর আড়াই মাসেও আর এক কেজি ধান মেলিন।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে ১ হাজার ৫ মেট্রিক টন এবং ভেন্ডাবাড়ী খাদ্যগুদামে ৬৭৩ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের জন্য গত বছরের ২৫ নভেম্বর অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। এই কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযানের প্রথম দিন দুটি গুদামে মাত্র এক মেট্রিক টন করে ধান সংগ্রহ করা হয়। এরপর আর কোনো কৃষক গুদামে ধান আনেননি। যদিও বর্তমানে ধানের বাজার মূল্যের চেয়ে সরকারি মূল্য বেশি। তারপরও বিভিন্ন ঝামেলার কারণে কৃষকেরা গুদামে আসছেন না।
কৃষকেরা জানান, উপজেলার স্থানীয় হাটবাজারে প্রতি মণ ধান বর্তমানে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে সরকারিভাবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৮০ টাকায় কেনা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, গুদামে ধান দিতে গেলে ভালোভাবে শুকানো লাগে। তারপর ভ্যান ভাড়া দেওয়া এবং টাকা পেতে ব্যাংকে যাতায়াত করতে হয়। এত ঝামেলার চেয়ে বাড়িতেই ব্যাপারীরা এসে ধান নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ঝামেলা কম, টাকা পাওয়া নিয়েও চিন্তা নেই।
উপজেলা সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা শাহ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দেওয়ার জন্য আমরা কৃষকদের বোঝাচ্ছি। সময় আরও আছে, হয়তো কিছু পরিমাণ ধান পাওয়া যেতে পারে।’