রায় শুনে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। অবশ্যই সত্যের জয় হয়েছে। কেউ যদি তাঁর কর্মে সঠিক থাকেন, সেটার ফল পাবেন। হয়তো একটু সময় লাগবে। যেমন আমার নয় মাস লেগেছে। অনেকেই বলেছেন, ‘আমি হলে এ জায়গা ছেড়ে দিতাম। আমার এত ধৈর্য নেই।’ কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি।
যদিও পদ নিয়ে অনেক টানাটানি হয়েছে, কিন্তু এতদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আপনিই পালন করেছেন। সে জায়গা থেকে এই নয় মাসে শিল্পী সমিতির কি কোনো প্রাপ্তি আছে?
অনেক প্রাপ্তি আছে। আমরা সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকায় গিয়েছি। আমাদের এ উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। কারণ এই প্রথম শিল্পী সমিতির এজেন্ডার বাইরে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি। সবার অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল করেছি। অসুস্থ অনেক শিল্পীকে সহযোগিতা করেছি।
জায়েদ খান নাকি এফডিসিতে আসতে পারছেন না। কেন?
জায়েদ খানের এফডিসিতে আসা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রয়াত সালমান শাহ, মান্না ভাই, জসিম ভাই, রাজ্জাক আঙ্কেলদের জন্য মিলাদ মাহফিল করেছি। উনি তো এসে অ্যাটেন্ড করতে পারতেন। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপন করলাম, সবাইকে ইনভাইট করা হয়েছে। উনি কিন্তু আসেননি!
ওনারা হয়তো জায়েদ খানের রায়ের ব্যাপারে অপেক্ষা করছিলেন। এখন তো রায় হয়ে গেছে। ওনাদের জিজ্ঞেস করব, আসতে চান কি না। কারণ, আমাদের ওপর খুব চাপ যাচ্ছে। ২১ জনের কাজ তো ১১ জন করতে পারবে না। যদি ওনারা আসতে অপারগতা জানান, সে ক্ষেত্রে করণীয় কী হবে, সেটা সমিতির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জায়েদ খানের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
একটা কথাই বলব, একজন নারী তাঁর কর্ম দিয়েই এগিয়ে যান। নারীদের এত ছোট করে কথা বলবেন না।