শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা। এই কম্পন বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য বলছে, বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে সংঘটিত এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১। এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের চিন রাজ্যের রাজধানী হাখা শহরের ১৯.৫ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর পশ্চিমে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২.৮ কিলোমিটার গভীরে।
গতকাল ভোরে ঢাকার উঁচু ভবনগুলো হঠাৎই দুলে ওঠে। এতে অনেকেই ঘুম ভেঙে যায়। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেই অভিজ্ঞতার কথা কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেনও। আবার অনেকে ঘরের জিনিসপত্র কাঁপতে থাকার ভিডিও শেয়ার করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের পাশাপাশি ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেও এ দিন ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা এলাকার একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। রহমান ভিলা নামের ওই ভবনটি আগেই কিছুটা হেলে ছিল। গতকাল শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পের পর সেটি আরও হেলে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনের গায়ে ঠেকেছে। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ভুটান ও চীনের কিছু এলাকা থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিয়ানমারের প্লেট বাউন্ডারি লাইনে একটি মাইক্রো প্লেটের কাছাকাছি বার্মা ‘সেগিং ফল্টে’ এ ভূমিকম্প হয়েছে। এটা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প। এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বে। ভারতের মিজোরামের সাইহা থেকে ওই এলাকার দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটারের মতো। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল দূরে হওয়ায় বাংলাদেশে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’