মুলাদীর সফিপুর ইউনিয়নের সোনামদ্দিন বন্দরসংলগ্ন খালের সেতুর রেলিং ভেঙে গেছে। এ ছাড়া সেতুটির কয়েক স্থানে পাটাতন ভেঙে গেছে। এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও মানুষ।
জানা গেছে, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে খালটির ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের সময়ই সেতুটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না রেখে সরু করে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর। কয়েক বছরের মধ্যেই সেতুটির রেলিং ভেঙে যায়। ২০১৫ সালের দিকে অনেকগুলো রেলিং ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া সেতুটির পাটাতনের বিভিন্ন স্থান ভেঙে নিচে পড়ে যায়।
সেতুর রেলিং না থাকায় ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। ৮ মার্চ একটি ইজিবাইক সেতুর নিচে উল্টে পড়ে যায়। ওই ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ দুজন আহত হয়েছেন। এর আগে ৫ মার্চ গাড়ি চলাচলে জায়গা দিতে গিয়ে একটি ভ্যান সেতুর নিচে পড়ে চালক আহত হন।
উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা এম এ গফুর মোল্লা জানান, অনেক আগে নির্মিত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর রেলিং না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া সরু সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
বন্দরের ব্যবসায়ী আলমাছ উদ্দীন জানান, সেতুটি অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। কয়েকবার স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে সংস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেতুটি ঘেঁষে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
একই গ্রামের আবির হোসেন বলেন, ‘সোনামদ্দিন বন্দরের সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মুন্সীরহাট, বাটামারা, সফিপুর নোমরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের উপজেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র সড়কে এটি অবস্থিত। সফিপুর ও বাটামারা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করেন। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’
বন্দরের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, সেতুটি অনেক কম প্রস্থের। তাই গাড়ি চলাচলে সমস্যা হয়। ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কয়েক বছর ধরে ভাঙা সেতুটিতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন।
সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী বলেন, ‘সোনামদ্দিন বন্দরসংলগ্ন খালের সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অটোরিকশা, ভ্যান, লেগুনা, মোটরসাইকেল চলাচল করে। এটি সংস্কারের জন্য এলজিইডিতে চাহিদা দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী তানজিলুর রহমান জানান, সেতু নির্মাণের জন্য বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশল দপ্তরে চাহিদা দেওয়া আছে। বরাদ্দ পেলে সোনামদ্দিন বন্দর খালে দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।