টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় সরিষা চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়নি। এই অবস্থা বহাল থাকলে সরিষার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
সরিষা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চাষিরা সময়মতো তাঁদের জমিতে সরিষার বীজ বপন করেছেন। সতেজ গাছগুলো এখন বড় হয়ে সেগুলোতে হলদে ফুল ধরেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে সরিষা খেতে হলুদ ফুলের সমারোহ। ফুলের অপরূপ দৃশ্য আকৃষ্ট করে সবাইকে। অনেকেই সরিষা ফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে ফসলি জমিতে নেমে পড়েছেন। সেই সঙ্গে ফুল থেকে মৌমাছির মধু সংগ্রহের চিত্রও চোখে পড়ে।
উপজেলার মীরনগর গ্রামের সরিষাচাষি আব্দুর ছামাদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও জমিতে সরিষা বুনেছি। এবার বাজারে ভোজ্যতেলর দাম বেশি। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে। আশা করছি তাতে ভালো লাভ হবে।
উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের পোষ্টকামারী গ্রামের সরিষাচাষি আওয়াল মিয়া বলেন, ‘এ বছর আমি ৭০ শতক জমিতে সরিষা বুনেছি। ১ বিঘা জমিতে সরিষা বুনতে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। ফলন আসে ১০-১২ মণ। বর্তমান বাজারদরে বিক্রি করলে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার ১২ ইউনিয়নে চলতি রবি মৌসুমে ১০ হাজার ৭২ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদনে খরচ কম হয়। বাজারে ভালো দাম থাকায় চাষিদের এই ফসল চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে আছে। উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।