দারিদ্র্যের কশাঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না মো. টিপু মিয়া (২০)। তার বাঁচার আকুতি শুনে পাশে দাঁড়ালেন মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহেমদ। গত সোমবার বিকেলে ইউএনও বুলবুল আহমেদ টিপু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। একই সঙ্গে চলাফেরার জন্য একটি হুইল চেয়ার, শুকনো খাবার ও নগদ অর্থসহায়তা দিয়ে আসেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কাইটাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে টিপু মিয়া। শৈশবকালে হারিয়েছেন মা আমেনা আক্তারকে। বড় হয়েছেন নানি আয়েতু বানুর কাছে। নানি আয়েতু বানু মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে যা উপার্জন করতেন তা দিয়েই কোনো রকম চলত। নানির বয়স হয়েছে তাই আর চলতে পারেন না। তা
তিন বছর আগে ট্রাক্টর চালাতে শুরু করে টিপু। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দুর্ঘটনায় পঙ্গু হন তিনি। এরপরই শুরু হয় টিপুর মানবেতর জীবন। চিকিৎসার অভাবে বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে টিপুর শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে।
টিপুর এমন দারিদ্রতার খবর পেয়ে গত সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ ছুটে যান তার বাড়িতে। এ সময় সঙ্গে যান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল, ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল। এ সময় টিপুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, টিপুর শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। মানুষ তো মানুষের জন্যই তাই আমরা টিপুর সুস্থতার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’