ওপরে লাল ঝালর। তিন দিকে বসে দর্শক। দুই দিকে বাদকের দল। গ্রামবাংলার আবহমান পরিবেশনা যাত্রার মঞ্চ এটি। তবে পেশাদার যাত্রাশিল্পীরা নন, এই যাত্রার পাত্র-পাত্রী সব নবীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে তাঁরা পরিবেশন করেন কবি মাইকেল মধুসূদনের জীবনী নিয়ে যাত্রাপালা ‘বিদ্রোহী মাইকেল মধুসূদন’।
গতকাল হলরুমে ঢুকতেই একটি কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে রয়েছে যাত্রা নিয়ে সব তথ্য। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে এ যাত্রাপালার। এতে অভিনয় করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকের বিভাগগুলো মঞ্চনাটককেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ধীরে ধীরে সেখানে যুক্ত হয়েছে বাংলার লোক পরিবেশনা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগও শুরু থেকেই লোক পরিবেশনা নিয়ে কাজ করছে।
এই যাত্রার নির্বাহী নির্দেশক কামালউদ্দিন কবির বলেন, ‘শুরু থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পাঠক্রমে ‘বাংলার গীতরংগ’ কোর্সের আওতায় যাত্রাসহ দেশজ বিভিন্ন আঙিক নিয়ে অধ্যয়ন ও চর্চা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের যাত্রাগুণী মিলন কান্তি দের প্রশিক্ষণ ও পরিচালনায় বিভাগ থেকে ‘বাঙালি’, গঙ্গা থেকে বুড়িগঙ্গা’, ‘সোহরাব-রুস্তম’ যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়েছে। এই যাত্রাটিও তারই ধারাবাহিকতা।