হোম > ছাপা সংস্করণ

বসেছে মেলা, সমাগম কম

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুরে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ দোলপূর্ণিমা মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ১৩ দিন। তবে এবার কমেছে মেলার পরিধি। কমেছে গরু-মহিষ ও ঘোড়ার আমদানি। করোনার কারণে টানা দুই বছর মেলা বন্ধ থাকায় অনেকটা জৌলুশহীন হয়ে পড়েছে এবারের মেলা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত দিনের মেলায় চিত্তবিনোদনের জন্য একাধিক যাত্রা-সার্কাস ছিল। তবে এবারের মেলায় চিত্তবিনোদনের কোনো কিছুরই অনুমোদন দেয়নি প্রশাসন।

গরু-মহিষ ও ঘোড়ার ক্রেতা-বিক্রেতা এসেছে কম। দোকানপাটও কম বসেছে। ফলে মেলাটি এবার জমে ওঠেনি। দোল পূর্ণিমার মেলা শুরুর পাঁচ দিন থাকে গোহাটি (গরু, মহিষ, ঘোড়ার হাট)। মেলার ছাপা (বিক্রির অনুমতিপত্র) বের হলে গোহাটি ভেঙে যায়। এরপর মেলায় হরেকরকমের জিনিসের কেনাকাটা পুরোদমে শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলার গোহাটির জায়গা বিগত দিনের চেয়ে অনেক কমেছে। অনেক জমিতেই এবার বোরো আবাদ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। করোনায় টানা দুই বছর মেলা বন্ধ থাকার পরে এবারের মেলায় গরু-মহিষ ও ঘোড়ার তেমন আমদানি হয়নি। গোহাটির বেশির ভাগ জায়গায় ফাঁকা পড়ে রয়েছে। রকমারি দোকান বসতে শুরু করলেও সেগুলোর পরিমাণও অনেক কম। মেলায় লোকজনের সমাগমও কম।

গোপীনাথপুর মেলার আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মেলাকে ঘিরে জয়পুরহাট ও বগুড়ার চারটি উপজেলা শতাধিক গ্রামে আনন্দ উৎসব বিরাজ করে। এসব গ্রামের মানুষের মেলায় সাংসারিক আসবাবপত্র কেনাকাটার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করতেন। এখনো এই রীতি আছে।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে মেলায় ঘোড়া বিক্রি করতে এসেছেন রেজাউল। সবার আগে দৌড়ে প্রথম হয় দেখে ঘোড়ার মালিক তাঁর নাম রেখেছেন ‘বিজয়িনী’। মেলায় আমদানি ও লোকসমাগম এবার কম থাকায় বিজয়িনীর দাম তেমন একটা কেউ বলছে না।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার পুঠিবাড়ি থেকে আসা আব্দুল হাকিম বলেন, তিনি ৪০ বছর ধরে এ মেলায় মহিষ বিক্রি করতে আসেন। এবার তিনি ২২ জোড়া মহিষ নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে দুই জোড়া বিক্রিও করেছেন।

বগুড়ার কাহালুর কলমা গ্রামের আবু কালাম বলেন, তিনি মেলায় এক জোড়া শ্যামপুর জাতের ঘোড়া নিয়ে এসেছেন তিন দিন আগে। গত সোমবার তিনি ওই ঘোড়া বিক্রি করেছেন। আমদানি কম আর লোকসমাগম কম হওয়ায় ঘোড়া বিক্রি করে লাভ হয়নি। তবে খরচের টাকা তাঁর উঠেছে বলে তিনি জানান।

গোপীনাথপুর বাজারে ব্যবসায়ী আশরাফ আলী বলেন, কারোনার সময়ে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবারের মেলায় আবার চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থার অনুমোদন না থাকায় মেলা জমে ওঠেনি।

পদাধিকারবলে মেলা কমিটির সভাপতি ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, মেলায় এবার জৌলুশ হারাতে বসেছে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায়। মেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে মেলার বিভিন্ন পয়েন্টে লোক রাখা হয়েছে।

জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, মেলায় আগত লোকজন যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারেন, তার জন্য মেলার ভেতরে, প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ