উপজেলায় ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদের জন্য দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করার পর থেকে তেমন নির্বাচনী আমেজ নেই বললেই চলে।
সরেজমিন দেখা যায় হারতা, গুঠিয়া ও বামরাইল ইউনিয়নে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করার সাহস দেখাচ্ছেন না অনেকে। ফলে ইউপি নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও অনেকটাই নিরুত্তাপ উজিরপুর উপজেলা। বিএনপির নির্বাচন বর্জন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংকট সব মিলিয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়ে তেমন বাধা দেখছেন না ভোটারেরা।
নানা হিসাব নিকাশ মিলিয়ে স্বতন্ত্র পদেও কেউ প্রার্থী হতে চাচ্ছেন না তেমন কেউ। চরমোনাই পীরের দল নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের প্রার্থী ভোট যুদ্ধে জোর লড়াই করবেন এটাও ভাবছেন না ভোটাররা।
উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ হাওলাদার। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আসলাম খান। ওই ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন জানিয়েছেন, এক সময় স্থানীয় সরকার ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই কালিহাতার ভোটারদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ ও উত্তেজনা দেখা যেত। সেই কালিহাতা এখন নীরব। নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের।
হারতা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় একাধিক মেম্বর প্রার্থী থাকার কারণে ওই এলাকা গুলোতে কিছুটা নির্বাচনী আমেজ থাকলেও ইউনিয়ন জুড়ে তেমন আলোচনা নেই নির্বাচনকে ঘিরে। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল মল্লিক।
গুঠিয়া ইউনিয়নের চিত্র সামান্য ব্যতিক্রম। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছত্তার মোল্লা। ওই এলাকার বাসিন্দা রবিউল বলেন, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আগের মতো আমেজ নেই, সাধারণ ভোটার এমনকি প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের মধ্যেও।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ নভেম্বর।