লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। গত শনিবার সকালে উপজেলার পাটোয়ারী হাট এলাকার মেঘনার নদীর পাড়ে পাটোয়ারী হাট রক্ষা মঞ্চ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ সময় বক্তব্য দেন পাটোয়ারী হাট রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক আবুল বাসার বাকি, হারুনুর রশিদ পাটোয়ারী, পাটোয়ারী হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার আলম সর্দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আকতার হোসেন পাটোয়ারী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও পাটোয়ারী হাট রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক রাকিব হোসেন লোটাস প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, নদীভাঙন রোধে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার অনুমোদন দেয় সরকার। অথচ পাটোয়ারী হাট ইউনিয়নে তীর রক্ষা বাঁধে কোনো ধরনের কাজ হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত মেঘনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে শিগগিরই পাটোয়ারী হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পাটোয়ারী হাট এলাকায় ভাঙন রোধে তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না করলে সড়ক অবরোধ, উপজেলা পরিষদ ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, বালু-সংকটের কারণে মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধের ডাম্পিংয়ের কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। এখন বালু-সংকট কেটে যাওয়ায় আবার ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পাটোয়ারী হাট এলাকায় ডাম্পিংয়ের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৩০ বছরে মেঘনা নদীর ধারাবাহিক ভাঙনে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ২৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় ভিটেমাটি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে লক্ষাধিক বাসিন্দা। গত বছরের জুন মাসে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদির পণ্ডিতের হাট এলাকা ভাঙন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদন হয়।
৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একই বছরের আগস্ট মাসে প্রকল্পের টেন্ডার হয়। দ্রুত বাস্তবায়নে পুরো কাজ ৯৯ প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। উদ্বোধনের পর সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার পর কাজ বন্ধ রয়েছে। নেই কাজের কোনো অগ্রগতি।