গাজীপুরের পাঁচ উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন ছাড়া ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৯৭ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫ জন করোনার টিকা পেয়েছে। টিকা নেওয়ার অপেক্ষায় আছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪২ শিক্ষার্থী।
এদিকে জেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনে আরও ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্ডারগার্টেনে টিকাদান শুরু না হওয়ায় তারা সবাই আছে অপেক্ষায়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গাজীপুরে মোট ২ লাখ ৬২ হাজার ৪২ শিক্ষার্থী। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এ জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তাঁরা।
১৭ জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা। তিনি বলেন, গাজীপুর সদর উপজেলায় প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৬৫ হাজার ৮৭০ জন। সদর উপজেলায় দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ৯৬৮ জন। এই উপজেলায় এখনো টিকা নেয়নি ৫২ হাজার ১৩০ জন শিক্ষার্থী।
রেবেকা সুলতানা বলেন, কাপাসিয়া উপজেলায় প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৪০ জন। এ উপজেলায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৫৯ জন। উপজেলায় এখনো টিকা নেয়নি ৪২ হাজার ৩৬০ শিক্ষার্থী। কালিয়াকৈরে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৩১ হাজার ৯২ শিক্ষার্থী। উপজেলায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮৫৮ জন। এখনো টিকা নেয়নি ২০ হাজার ৫০০ জন।
রেবেকা সুলতানা বলেন, শ্রীপুরে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৩০ হাজার ৬১৮ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ২ হাজার ৫২ জন। উপজেলায় এখনো টাকা পায়নি ৮ হাজার ২৮৭ শিক্ষার্থী। কালীগঞ্জে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ২০ হাজার ২৩৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ১ হাজার ১২২ জন। এখনো টিকা নেয়নি ৭ হাজার ৭৬৫ শিক্ষার্থী।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে জেলার স্কুল, কলেজ, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি স্কুল, কারিগরি কলেজ ও কারিগরি মাদ্রাসার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কাজ শেষ করা হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের তালিকা ও সময় ঠিক করা হয়েছে।’
এদিকে গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলার কিন্ডারগার্টেনগুলোতে টিকা দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৩ তারিখ থেকে চলমান টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে, তাদের টিকা দেওয়ার কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব হবে।