হোম > ছাপা সংস্করণ

পুলিশে শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সরকারের অধীন হয়ে পুলিশ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে থানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাটসহ সহিংস ঘটনা ঘটে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁরা থানা ছেড়ে চলে যান। এই পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়ে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় ডাকাত-আতঙ্কে রাত জেগে নিজ বাড়িঘর, সম্পত্তি পাহারা দেন এলাকাবাসী। জনগণ নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের অনেক জায়গায় পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরলেও এখনো পূর্ণোদ্যমে তাঁদের কার্যক্রম শুরু হয়নি। এদিকে ৬ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের কাছে এখনো তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, রাস্তায় নামলেই উপহাসের শিকার হতে পারেন। কয়েক দিন আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে নতুন একজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন আইজিপি দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে সব পুলিশ সদস্যকে নিজ নিজ ইউনিটে ফেরার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। কিন্তু তাতেও খুব বেশি সাড়া মেলেনি।

পরিতাপের বিষয়, যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, তখন সেই দল পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। নিজেদের সুবিধার্থে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাহিনীর ভেতরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন সব আমলেই। সরকার পুলিশকে নিজেদের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও নিজেদের সুবিধা ও স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতায় থাকা সরকারের হয়ে অধস্তনদের ব্যবহার করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ যেন পুলিশ বাহিনীর সাধারণ সদস্যদের আর করতে বাধ্য করা না হয়, সে জন্য তাঁরা ৯ দফা দাবি জানিয়ে ৬ আগস্ট কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ পুলিশ সদস্যরা যে অভিযোগ তুলেছেন, তা অনেকাংশে সঠিক। পুরো পুলিশ বাহিনীই সিস্টেমের ক্রীতদাসের ভূমিকা পালন করেছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। থানায় ফিরতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি থানা এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর নির্দেশনা দিয়েছে। কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ততা ঘটানো।

জনরোষের শিকার হওয়া যেকোনো পুলিশের কাছে কর্মস্থলে ফেরার আগে মানসিক স্থিতিশীলতা জরুরি। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সবার আগে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

এখন দেশে যে সংস্কারের কথা উঠেছে, সেখানে রাষ্ট্রের সব সেক্টরে সংস্কার করা দরকার। সেই সংস্কারের জোয়ারে পুলিশ বাহিনীর সংস্কার করতে হবে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’—এ কথাটির যথার্থতা পালনের সময় এখনই। সেটা হলে পুলিশ বাহিনীর ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ থাকবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ