নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে তৈমূরের পক্ষে অভিযোগ জমা দেন অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ। এতে আইভীসহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, মৃণাল কান্তি দাস ও মির্জা আজমের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।
অভিযোগপত্রে তৈমূর উল্লেখ করেন, ‘নির্বাচন চলমান অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ বিজয় সমাবেশ করে। এতে ওই নেতাদের বক্তৃতার মাধ্যমে সরাসরি মেয়র পদে ভোট প্রার্থনা ও নির্বাচনী জনসভা করে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন করেছেন। যা নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধক। নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনাকে অনুরোধ করা হলো, যা কার্যকর করা আপনার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।’
অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘মৌখিকভাবে তো জানিয়েছি, এবার লিখিতভাবেও জানালাম। দেখি নির্বাচন কমিশন এবার কী ব্যবস্থা নেয়।’
অভিযোগপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘অভিযোগপত্র এসেছে। বিষয়টি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে শহরের দেওভোগে শেখ রাসেল পার্কে বিজয় সমাবেশ হলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সবার কণ্ঠে ছিল নির্বাচনী ইস্যু। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মিছিলগুলো থেকেও আইভীর পক্ষে স্লোগান ওঠে। ফলে বিজয় সমাবেশ পরিণত হয় আইভীর নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে। সেদিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর জন্য ভোট চেয়েছেন সরকারদলীয় তিনজন এমপি। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ মির্জা আজম, সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস ও নজরুল ইসলাম বাবু।