ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকা থেকে শহীদ নূর হোসেনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরন্নবী। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানান। এ সময় তিনি নুর হোসেনের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এবং অস্ত্র জমা দেওয়ার সার্টিফিকেট, মুক্তিযুদ্ধের সনদসহ কিছু প্রমাণাদি তুলে ধরেন।
নুরুন্নবী বলেন, ১৯৭৩ সালের ২১ মে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনশন ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সর্বদলীয় হরতালের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ঢাকার রাজপথে সরকারি সমর্থনপুষ্ট দুষ্কৃতকারীরা গুলি করে নুর হোসেনকে আহত করে পরে গুম করে। আজও সে ঘটনার বিচার হয়নি।
নুরন্নবী আরও বলেন, নূর হোসেন আমৃত্যু বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ঢাকার ফেনীবাসীকে একত্র করে প্রথম আহ্বায়ক মনোনীত হন। ফেনীকে জেলা করার জন্য চেষ্টা করেন। একটি গঠনতন্ত্র রচনা করেন। তবু সরকারি মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তাঁকে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না।
নূর হোসেনের এই ভাই বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোনো দলের নন। তৃণমূল থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত অনিয়ম-দুর্নীতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাই তাঁর ভাই নূর হোসেনকে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি কখনো কাউকে অনৈতিক সুবিধা দেননি, দেবেনও না।