গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে লড়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুর রউফ। এর এক দিন পরই তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুর রউফ মিয়া ওই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মাগুরাকুটি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোরগ প্রতীকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরদিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোবিন্দপুর গ্রামের মসজিদসংলগ্ন রাস্তায় তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বন্ধু রুহুল আমিনের মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুর রউফ। পথে গোবিন্দপুর গ্রামের পাকা সড়কের ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলায় মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে পার হচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় আব্দুর রউফের ওপর হামলা করেন আরিফ নামের এক যুবক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আরিফের বাসায় আগুন লাগিয়ে দেন।
হত্যার বিচার ও হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল শনিবার বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। সকাল থেকে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে সড়ক অবরোধ চলছে। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এতে সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে আব্দুর রউফের ওপর হামলা হতে পারে। এ ছাড়া হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ধাওয়ায় যুবকের মৃত্যু
রংপুরের পীরগাছার অন্নদানগর ইউনিয়নে ভোটের পর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিজয়ী সদস্যপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলামের চাচাতো ভাই আব্দুর রহিমের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ সময় হামলা চালিয়ে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সকালে ও সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।