মাগুরার শ্রীপুরে ছাগলের খামারে দিনবদল হয়েছে ফিরোজ সর্দার নামে এক যুবকের। শ্রীকোল ইউনিয়নের দোসতিনা গ্রামের বাদশা সর্দারের ছেলে ফিরোজের মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুলেও কলেজে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। বিচলিত না হয়ে শুরু করেন তিনি ছাগল পালন। চাকরির পিছে না ছুটে নিজ উদ্যোগে এবং কঠোর পরিশ্রমে আজ তিনি সফল। দূর দুরান্ত থেকে অনেকেই এখন আসছেন তাঁর এই সফলতা দেখতে। অনেকেই উৎসাহিত হয়ে গড়ে তুলছেন ছাগলের খামার।
খামারি ফিরোজ সর্দার বলেন, দুই বছর আগে অল্প পরিসরে ছাগল পালন শুরু করি। যাত্রা শুরু করি ৪টি বকরি দিয়ে। এখন খামারে বড়, মাঝারি এবং ছোট সব মিলে ৩১টি ছাগল রয়েছে। এখনো ৪টি বকরি বাচ্চা দেবে। ছাগলগুলো খামারেই জন্মেছে এবং ছোট বাচ্চা থেকে এখানেই বেড়ে উঠেছে। কয়েকটি ছাগল বিক্রিও করেছি।
ফিরোজ বলেন, সকালে ছাগলগুলো বড় বিলের মাঠে চড়িয়ে দিন শেষে বাড়িতে যাই। নিজস্ব ট্রাক্টরে করে ছাগলগুলো আনা-নেওয়া করি। ছাগলগুলো মাঠে চরাই তাই খরচ অনেকটা কম হয়। সারা দিন প্রায় মাঠেই থাকতে হয়। পাশাপাশি একটি মাছের ঘের করেছি। ছাগল পালন ও মাছ চাষে আমার অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় হয়। খামারের পরিধি বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও অর্থনৈতিক কারণে পারছি না। উপজেলা পশু অফিস থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পরামর্শ এবং আর্থিক সহায়তা পাইনি। ব্যাংক সহজ শর্তে ঋণ দিলে এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা গেলে খামারের পরিধি বাড়ানো সম্ভব।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ কুমার মজুমদার বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকটের কারণে অনেক কিছুই দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ ক্ষেত্রে খামারিদের উচিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। আজ অবগত হলাম। খুব দ্রুত খামারির সঙ্গে যোগাযোগ করব।