নোয়াখালীর চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের, দুই সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
গত রোববার নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৭ নম্বর আমলি আদালতে ঘুষ দাবির অভিযোগে মামলার আবেদনটি করেন আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি চাটখিল উপজেলার উত্তর বদলকোট গ্রামের বাসিন্দা। বিরোধপূর্ণ জমি দখলে সহযোগিতা ও ঘুষ দাবির অভিযোগে মামলার এই আবেদন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন অপর পক্ষের মো. পারভেজ, মো. শহীদুল্লাহ, মো. মিজান, মো. সুমন, মো. শাহজাহান, মো. জাহাঙ্গীর, মো. আকবর, মো. শাহাদাত ও মো. রাজন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোহাম্মদ সাফায়েত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, চাটখিলের বদলকোট মৌজার বিএস ১২৪৬ খতিয়ানের ১০২৮ দাগে তাঁর দখলি জমি ১৩ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষ মো. শহিদুল্লাহ ও মো. পারভেজ দলবল নিয়ে দখল করতে আসেন। এ সময় তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। যার ভিত্তিতে চাটখিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াহেদ সেখানে গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যান। পরে থানার দুই এএসআই জাকির হোসেন ও মো. সুমন গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায় তাঁদের হুমকি-ধমকি দেন।
আবদুল ওয়াহেদ বলেন, দুই এএসআইয়ের কথা অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাঁদের রাত ১০টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়। বিপরীতে প্রতিপক্ষকে রাতে জমি দখলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। পরদিন আবার থানায় গেলে দুই এএসআই তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, মামলার আবেদনটি তিনি দেখেছেন। তিনি আবদুল ওয়াহেদ নামের উল্লিখিত ব্যক্তিকে চেনেন না।
আদালতের পেশকার মতিউর রহমান জানান, আদালত পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
পিবিআইয়ের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান মুন্সী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।