চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ছয় বছর আগে ১০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার মামলার রায়ে দুই রোহিঙ্গাসহ পাঁচজনকে জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তার এই রায় দেন।
এর মধ্যে দুই রোহিঙ্গাসহ চারজনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তা ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আরেক আসামিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তা ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতের পেশকার মো. ফরিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মিয়ানমারের নাগরিক রহিম উদ্দিন (৩৫), কামাল আহমেদ (৪২), কক্সবাজার সদরের আব্দুস সালাম ওরফে সালাম মাঝি (৫৪) ও ভোলার চরফ্যাশন এলাকার মো. শফিক (৩৭)।
পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন কক্সবাজার সদরের বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদ। এদের মধ্যে কামাল পলাতক রয়েছেন। রায়ের পর অন্যদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা ১১ নম্বর কয়লার ডিপো এলাকার কর্ণফুলী নদীতে অবস্থান করা এফবি ইমন নামের একটি ট্রলারে র্যাব তল্লাশি চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশিকালে ট্রলারের কোল্ডস্টোরেজ থেকে র্যাব ১০ লাখ ইয়াবাসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় র্যাব ৭-এর ওয়ারেন্ট অফিসার নুরুল ইসলাম পতেঙ্গা থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ১৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ২০১৮ সালের ২৪ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় জয়নাল ও রবিউল নামের দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।