জাল-জালিয়াতির মামলায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল বাশার ওরফে বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তিনি সাদুল্লাপুর ৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। আমিয়াপুর গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী ফাতেমা বেগমের দাদা মৃত্যুর আগে ২ ছেলে ১ স্ত্রী ও ৭ মেয়ে রেখে গেছেন। ফাতেমা বেগমের বাবা ইমাম হোসেন পরিবারের প্রথম ছেলে। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করছেন।
ফাতেমার দাদার মৃত্যুর পর সাদুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে ভুয়া তথ্য দিয়ে তাঁর বাবা ইমাম হোসেনের নাম না দিয়ে ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে তাঁর সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেন তাঁর চাচাতো ভাই আব্বাছ উদ্দিন।
আর এ কাজে সহযোগিতা করেন ইউপি সদস্য আবুল বাশার ওরফে বাবুল হোসেন। পরে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে খোঁজ নিলে ভুয়া দলিলের বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার হয়।
পরবর্তীকালে ইমাম হোসেনের মেয়ে ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে তাঁর চাচাতো ভাই আব্বাছ উদ্দিনসহ ইউপি সদস্য আবুল বাশার ওরফে বাবুল হোসেন, রাজ্জাক প্রধানের ছেলে জহির প্রধান, ফারুক, আরিফ, আতিক, মেয়ে আয়েশা ও নাউরী গ্রামের হামিদ খানের স্ত্রী রহিমা বেগমের নামে জাল-জালিয়াতির মামলা করেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, জাল-জালিয়াতির মামলায় বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ভুয়া ওয়ারিশ সনদের বিষয়ে কথা বলার জন্য সাদুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেনকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সাড়া দেননি তিনি।
বাদী ফাতেমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্পত্তি নিয়ে আমার পরিবারের সঙ্গে জালিয়াতির করায় ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। এ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী আবুল বাশার ওরফে বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলায় সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হলে আমি ন্যায় বিচার পাবো।’