করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় পর্যটক সমাগমে মুখরিত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পর্যটকদের আগমনে প্রাণ ফিরে এসেছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।
গত বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা সৈকতের গঙ্গামতি লেক, ঝাউবাগান, জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লি, ফিশ ফ্রাই মার্কেট, বৌদ্ধবিহার ও ইলিশ পার্কসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল। তবে আগত পর্যটকেরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন থাকলেও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং করতে দেখা গেছে।
যশোর থেকে আসা পর্যটক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্রমণে এসেছি। এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো সত্যিই আকর্ষণীয়।’
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, ‘পর্যটক হলো আমাদের প্রাণ। কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানগুলো নিরাপদে ভ্রমণে সর্বদা সহায়তা করে যাচ্ছে।’
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পর্যটকের আগমনে পর্যটকনির্ভর ব্যবসায়ীরা প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। কুটুমের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিং করছি এবং তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে টহল জোরদার করা হয়েছে।’