কুড়িগ্রামের রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের সংস্কারকাজ ধীরগতিতে করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। জেলার রাজিবপুর উপজেলার ধুলাউড়ি এলাকা থেকে রৌমারী উপজেলার কর্তিমারী বাজার পর্যন্ত এই মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ধানুয়া-কামালপুর-রৌমারী-দাঁতভাঙ্গা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম অংশের রাজিবপুর উপজেলার ধুলাউড়ি থেকে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত ২২ দশমিক ৬০৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও ২৪ ফুট থেকে ৩০ ফুট প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৫৯ কোটি ৫০ লাখ ৭৮ হাজার ৮০০ টাকা। চারটি প্যাকেজে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা। ঠিকাদার রানা ও বেলালের দুটি অংশের কাজ মোটামুটি শেষ হলেও মীর হাবিবুর আলমের অপর দুটি অংশের বেশি ভাগ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কারণে শেষ হয়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, রাজিবপুর উপজেলার ধুলাউড়ি থেকে রৌমারীর কর্তিমারী বাজার পর্যন্ত মহাসড়ক নাজেহাল। উন্নয়নকাজের যন্ত্রপাতি, মালামাল ও খোঁড়া মাটি মহাসড়কের পাশে ফেলে চলাচল প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস ধরে এগুলো পড়ে থাকায় যানবাহন যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
কাজের ধীরগতির কারণ জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম বলেন, ‘আমার নির্মাণসামগ্রী সবই তো সেখানে আছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাজ বন্ধ আছে। বৃষ্টিতে কাজ করা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া বন্যার কারণে মাটিও পাওয়া যাচ্ছিল না। দুই মাসের মধ্যে উন্নয়নকাজ শেষ করব।’
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঠিকাদারকে তাগাদা দিয়েছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন ডিসেম্বরের নাগাদ কাজ শেষ করবেন।’