হোম > ছাপা সংস্করণ

আগাম আলু তোলায় ব্যস্ততা দামে হতাশ কৃষকেরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাট সদর উপজেলার কৃষকেরা এখন আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলন ভালো হলেও গত বছরের চেয়ে এবার দাম কম। ভবিষ্যতে আলুর বাজারদর কেমন থাকবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা।

চাষিরা জানান, এখন যাঁরা আলু তুলছেন, তাঁদের সব খরচ বাদ দিয়ে কিছুটা লাভ থাকছে। তিন-চার দিনের ব্যবধানেই বাজারদর কমে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে যাঁরা আলু তুলবেন তাঁরা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার বুম্বু ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া, কোমরগ্রাম এবং ভাদশা ইউনিয়নের দুর্গাদহ এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীরা আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন মূলত মিউজিকা, গ্রানোলা, ফ্রেশ, ক্যারেজ, রোমানা পাকরি এবং বট পাকরি জাতের আলুই বেশি তোলা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, জেলায় এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৭ হাজার ১০০ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ৭ হাজার হেক্টর, কালাইয়ে ১১ হাজার ১০০ হেক্টর, ক্ষেতলালে ৯ হাজার হেক্টর এবং আক্কেলপুরে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষাবাদ হয়েছে মোট ৪০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়ার আলুচাষি মুবিনুল ইসলাম মোবিন জানান, তিনি এবার ৪৫ শতক জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলু চাষ করেছিলেন। রোপণের ৫৮ দিনের মাথায় খেত থেকে তুলেছেন। বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) তাঁর খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। বিঘায় ফলন পেয়েছেন ৭০ মণ। বিক্রি করেছেন ৩০ হাজার টাকায়।

তিনি বলেন, ‘গত সোমবার মিউজিকা জাতের আলু ৪৬০ টাকা মণ দরে এবং মঙ্গলবার ৪৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। সপ্তাহ আগেও এই আলু ৫৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। খেতে আরও কিছু আলু আছে। সেগুলো তুলতে ১০-১৫ দিন লাগবে। দিন দিন যেভাবে দাম কমছে তাতে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’

আলুর পাইকারি ক্রেতা আসলাম হোসেন আলী বলেন, ‘বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এসব আলু ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হিমাগারে এখনো কিছু আলু আছে। এ কারণেই নতুন আলুর দাম কিছুটা কম।’

জেলা কৃষি বিভাগের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মো. সাখওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলুচাষিদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হিমাগারগুলোতে এখন পর্যন্ত কিছু আলু আছে। এ জন্য আগাম আলুর দাম কিছুটা কম। হিমাগারে সংরক্ষিত আলু শেষ হলেই নতুন আলুর দাম কিছুটা বাড়বে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ