হোম > ছাপা সংস্করণ

সৈকতে ফটোগ্রাফার

সম্পাদকীয়

সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণে গেলে এখন ক্যামেরা হাতে ঘুরতে থাকা একদল মানুষের দিকে পড়বে চোখ। সমুদ্রের কাছে যাওয়ার পর এঁদেরই কেউ এগিয়ে আসবেন এবং বলবেন, ভালো ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে দেবেন। বিনিময়মূল্য খুব বেশি নয়। প্রথমে হয়তো বলবেন ছবিপ্রতি পাঁচ টাকা, তারপর রফা হবে তিন টাকায়। সেলফিতে তো মন ভরে না, একসঙ্গে আরও ছবি তোলা চাই। তাই এই ফটোগ্রাফারদের হাতে সঁপে দেওয়া হলো নিজেকে। হয়তো ১০টা কিংবা ২০টা ছবি তুলে দিতে বলা হলো। এরপরই ঘটে সেই আজব ঘটনা, যা আমাদের দেশ ছাড়া আর কোথাও ঘটে বলে জানা নেই। ফটোগ্রাফার শখানেক, কখনো কখনো শপাঁচেক ছবি তুলে ফেলেছেন ইতিমধ্যে এবং এই সব ছবিই গছিয়ে দিতে চাইছেন টাকার বিনিময়ে। ভুক্তভোগীদের কাছে নিশ্চয়ই এ রকম দৃশ্যকে অলীক কল্পনা বলে মনে হচ্ছে না।

কথাগুলো বলতে হলো আজকের পত্রিকার কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধির একটি প্রতিবেদন পড়ে। চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্রসৈকতে ফটোগ্রাফাররা কীভাবে পর্যটকদের ফাঁদে ফেলেন, তা নিয়েই প্রতিবেদনটি। মূলত এই চিত্র বাংলাদেশের যেকোনো সমুদ্রসৈকতেরই। কক্সবাজার, ইনানি, হিমছড়ি, কুয়াকাটা—কোনো এলাকাই এঁদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।  

সৈকত এলাকায় ফটোগ্রাফারদের সংখ্যা বাড়ার কারণ ডিজিটাল ক্যামেরা। এখন আর ফিল্ম কেনার ঝামেলা নেই। ক্যামেরায় ফিল্ম ভরে ছবি তোলার ঝক্কি নেই। প্রতিটি স্ন্যাপই যেখানে অমূল্য রতন ছিল, এখন তা বারোয়ারি হয়ে গেছে। ক্লিক করলেই ছবি ওঠে, তাই শত শত ছবি তুলতে নেই মানা। বেকার যুবকেরা, এমনকি কিশোরেরাও এখন সমুদ্রতীরে ক্যামেরা হাতে অপেক্ষা করে পর্যটকের এবং সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় পয়সা।

পেশা হিসেবে ফটো তোলার কাজটি খুবই আকর্ষণীয়, নান্দনিক। একটি ভালো ছবি তোলার জন্য একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার কতটাই না মেহনত করেন। একটা সময় যখন ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল না, তখন কত রকম প্রস্তুতি নিয়ে ছবি তোলা হতো। এখন মেহনত ছাড়াই ছবি তোলা যায়।

আমরা যে একটি পেশাকে সম্মানযোগ্য করে তুলতে পারি না, তার একটা ইঙ্গিত আছে এই সৈকত-ফটোগ্রাফারদের আচরণে। কীভাবে পর্যটককে ঠকানো যায়, তা রপ্ত করে নিয়েছেন এঁদের কেউ কেউ। কটা ছবি তোলা হবে, কী ধরনের ছবি তোলা হবে, সে সম্পর্কে আগে থেকেই রফা করে নিলে পরের ঝক্কি কমে। সেটাই হতে পারে পেশাদার আচরণ। কিন্তু ফটোগ্রাফারদের চাতুরীর সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা জানেন, আগে থেকে কথা বলে নিলেও এঁরা চুক্তি ভঙ্গ করতে অভ্যস্ত। নিজেদের ইচ্ছেমতো ছবি তুলে সব ছবির জন্য টাকা দাবি করেন তাঁরা। তখন বচসা হতে পারে, কথা-কাটাকাটি, আরও ভয়ংকর দিকে মোড় নিতে পারে ঘটনা।

সৈকতে ছবি তোলার ব্যাপারটিকে সত্যিকারের পেশায় রূপান্তরিত করতে হলে একধরনের নিয়মনীতি তো লাগবেই। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা, এই চাতুরীর ‘খাসলত’ পরিবর্তন করতে হবে। নইলে ইতিবাচক কিছু হবে না। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ