কোহিনুর বেগম (৫৫), দুই পা বিকলাঙ্গ। হাতের ওপর ভর করে পেটের দায়ে ছুটতে হয় তাঁকে এদিক-ওদিক। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি হুইলচেয়ারের; কিন্তু কেনার সামর্থ্য নেই। ঘুরেছেন চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থায়। এর মধ্যে কেউ কেউ প্রতিশ্রুতি দেন; কিন্তু পরে আর কথা রাখেননি। অবশ্য ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর আজম মণ্ডল নীরব কোহিনুরকে একটি হুইলচেয়ার দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের ইউসুফ ব্যাপারীর মেয়ে কোহিনুর। সাত বছর বয়সে মারা যান বাবা। এ সময় জীবিকার তাগিদে মা আমেনা বেগম বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। এরই মধ্যে বড় হয়ে ওঠে কোহিনুর। প্রায় ৩৫ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। কয়েক বছর ঘর-সংসার করার পর স্বামী তালাক দেন তাঁকে। এরপর মায়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
চার বছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসার অভাবে দুটি পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায় তাঁর। তখন থেকে প্রতিবন্ধী জীবনে দুই হাতে ভর করে চলাচল করতে হয়। অন্যদিকে মা আমেনা বেওয়াও বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন।
সকালে বাড়ির সামনে ছবি তুলতে গেলে হাউমাউ করে কেঁদে কোহিনুর বলেন, ‘একটি হুইলচেয়ারের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে ঘোরাঘুরি করেছি। আরও অনেক জায়গায় ঘুরেছি। সবাই হুইলচেয়ার দিতে চাইছিলেন, কিন্তু এখনো কেউই দেয়নি।’