বটিয়াঘাটায় তিলোত্তমা মণ্ডল পুতুল নামের এক নারীকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের আটক করা হয়। গতকাল গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হলে বুধবার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন উপজেলার হাটবাটি (খৈয়াতলা) এলাকার কালিনাথ মিস্ত্রীর পুত্র বিকাশ মিস্ত্রী ও তাঁর নাতি বিপ্লব মিস্ত্রি, শান্তিরাম মণ্ডলের পুত্র দেবদাস মণ্ডল ও তাঁর নাতি দেবব্রত মণ্ডল এবং চক্রাখালী এলাকার হরিপদের পুত্র সুভাষ চন্দ্র। গ্রেপ্তার হওয়া আরও একজনের নাম নারায়ণ মিস্ত্রি।
গত সোমবার সকালে হাটবাটি (খৈয়াতলা) এলাকা থেকে পুতুলের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, প্রকাশ মিস্ত্রীর পারিবারিক সমস্যার কারণে খুন হন পুতুল। নিহত পুতুলের ভাই রাজেন্দ্রনাথ মণ্ডল বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় এ মামলা করেন। পরে মামলার সূত্র ধরে থানা-পুলিশ আসামিদের আটক করে।
জানা গেছে, পুতুলকে হত্যার সময় বাধা দেন প্রকাশ মিস্ত্রি ও তার স্ত্রী দীপিকা মিস্ত্রী। হামলাকারীরা এদেরকেও অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহত প্রকাশ ও তার স্ত্রী বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
একটি মহল বলছে, পুতুল হত্যার মূল রহস্য প্রকাশ ও তার স্ত্রী ভালোই বলতে পারবেন। কারণ তারা ওই রাতে পুতুলকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। গত শনিবার হাটবাটি গ্রামে প্রকাশ মিস্ত্রির বাড়িতে বেড়াতে যান তিলোত্তমা মন্ডল পুতুল। নিহত পুতুলের বাড়ি উপজেলা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বৃত্তিশলুয়া গ্রামে।