অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু করা হয় ঢাকা নগর পরিবহন। এক মাস না যেতেই অভিযোগ উঠেছে পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা না থাকার। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়নে খোদ পুলিশ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র।
নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে গতকাল সোমবার বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২১তম সভায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকা কমিটির দুই সদস্য আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সভায় ডিএনসিসির মেয়র আতিক ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তাঁরা জানান, সভায় দুই মেয়র ঢাকা নগর পরিবহন ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশের কর্মকর্তাদের দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন।
এদিকে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন তিনটি রুট ঘোষণা করেন ডিএসসিসির মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘নগর পরিবহনের প্রথম যাত্রাপথ হিসেবে আমরা সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২১ নম্বর যাত্রাপথ ঘাটারচর টু কাচপুর চালু করেছিলাম। এবার আমরা সেই সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথ চিহ্নিত করেছি। নতুন তিন যাত্রাপথগুলো হলো ২২ নম্বর ঘাটারচর থেকে বসিলা, আসাদগেট, ফার্মগেট, শাহবাগ ও পল্টন হয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা পর্যন্ত। ২৩ নম্বর ঘাটারচর থেকে বসিলা, আসাদগেট হয়ে সায়েন্স ল্যাব, পল্টন, কমলাপুর, সায়দাবাদ ও সাইনবোর্ড হয়ে মেঘনা ঘাট। ২৬ নম্বর ঘাটারচর, বসিলা, আসাদগেট হয়ে সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, কাকরাইল, দয়াগঞ্জ ও পোস্তগোলা হয়ে নারায়ণগঞ্জ।’
তাপস বলেন, ‘নতুন রুটের কর্মপরিকল্পনা ও কী কী উন্নয়ন পরিচালিত হবে, সে লক্ষ্যে পরামর্শকবৃন্দ কাজ শুরু করেছেন। আগামী সভায় তাঁদের সুপারিশ পাওয়ার পর ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণ করে দ্রুততার সঙ্গে কাজগুলো আরম্ভ করব।’
নতুন তিন রুট কবে বাস্তবায়ন হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তাপস বলেন, ‘আমরা এখনই সুনির্দিষ্ট করতে পারছি না, কত দিন নাগাদ পুরা ঢাকাকে এর আওতায় আনতে পারব। কার্যক্রম আরও বেগবান করতে আমরা একসঙ্গে তিন যাত্রাপথ নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, এই বছরেই শেষ করতে পারব।’