প্রথমবার র্যাম্পে হাঁটা
ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘খাদি ফ্যাশন উইক’-এ প্রথমবারের মতো র্যাম্পে উঠলেন অভিনেত্রী রুনা খান। প্রথমবার হলেও শো-স্টপার রুনা খান ছিলেন একেবারে সাবলীল। র্যাম্পের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। রুনা খান বলেন, ‘মাহিন আপার মতো স্বনামধন্য ডিজাইনারের শো-স্টপার হওয়া আমার জন্য বিশেষ কিছু। তিনি বারবার বলছিলেন, রুনা, আমি তোমাকে মডেল বানাতে চাই না। অভিনেত্রী রুনা খানকে প্রেজেন্ট করতে চাই। রুনা খানের পারসোনালিটি দেখতে চাই। অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমার জন্য সম্মানের। কাজটি ভীষণ উপভোগ করেছি।’ পছন্দসই কাজ হলে আবার র্যাম্পে হাঁটতে চান এই অভিনেত্রী।
আইনজীবীর চরিত্রে
১৮ জানুয়ারি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে কাজল আরেফিন অমির ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’। রুনা খান বলেন, ‘প্রথমবার আইনজীবী চরিত্র করেছি। পরিচালক অমির সঙ্গেও প্রথম কাজ। এই চরিত্রের দুটি লেয়ার দেখানো হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে সফল, আত্মবিশ্বাসী মানুষ হলেও নিজের ঘরে সে অসম্মান, অরুচিকর একটা জীবন যাপন করে। ব্যক্তিগতভাবে এ রকম দম্পতি আমার চেনা। যারা বাইরে সংস্কৃতিমনা হলেও সংসারজীবনে চরম অসুখী। আবার এমন দম্পতিও দেখেছি, যেখানে বউয়ের উপার্জনে সংসার চললেও স্বামী শো-অফ করেই চলেছে, এমনকি স্ত্রীকে মানসিকভাবেও নির্যাতন করে যাচ্ছে। অসময়ের এমিলি রহমান রিঅ্যাক্ট করতে পারলেও সেই নারীরা সামাজিকতার ভয়ে চিৎকারটাও করতে পারে না। কিন্তু মনের ভেতর আগুনটা ঠিকই জ্বলছে।’
গত বছরের শেষদিকে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মেকআপ নিয়ে ট্রলের শিকার হন রুনা খান। পরে তিনি জানান, এটা মেকআপ বা মেকআপম্যানের ভুল নয়, তাঁর সঙ্গে যেটা ঘটেছে, সেটার নাম মেকআপ ফ্ল্যাশব্যাক। এ বিষয়ে রুনা খান বলেন, ‘কিছু মেকআপে সিলিকাজাতীয় একধরনের উপাদান থাকে। সেগুলো ব্যবহারের পর ফ্ল্যাশ দিয়ে ছবি তুললে সেই অংশটুকু সাদা দেখায়। সেদিন আমার সঙ্গেও তা-ই ঘটেছে। যিনি মেকআপ করে দিয়েছেন, তিনি এর আগে মেকআপ ফ্ল্যাশব্যাকের কথা জানতেন না। এমন ঘটনা বহু নামীদামি তারকার ক্ষেত্রেও ঘটেছে। কাজের ক্ষেত্রে ভুল হয় এবং ভুল থেকে মানুষ শেখে। আমার এ ঘটনার পর এখন অনেকে হয়তো মেকআপ ফ্ল্যাশব্যাক সম্পর্কে সচেতন হবেন।’
প্রথমবার সঞ্জয়ের পরিচালনায়
২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসে ৬টি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে টেলিফিল্ম ‘স্বর্ণমানব ৬’। তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন মোশাররফ করিম। রুনা খান বলেন, ‘কাস্টমস দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর স্বর্ণমানবের নতুন সিকুয়েল তৈরি হয়। এ নিয়ে পরপর স্বর্ণমানবের তিনটি পর্বে কাজ করলাম। এই টেলিফিল্ম থেকে খুব ভালো রেসপন্স পাওয়া যায়। এই প্রথম সঞ্জয় সমদ্দারের পরিচালনায় কাজ করলাম। ভালো লেগেছে তাঁর সঙ্গে কাজ করে।’