প্রতিদিনের মতো বকুল নামের একটি ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছে। ডিসির পাহাড় নামের এই জায়গায় অনেক ঝোপঝাড় আছে। খেলতে খেলতে বকুল ও তার বন্ধুরা ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে যায়। একদিন তারা যখন খেলছিল, তখন হঠাৎ করে চারদিক থেকে চিৎকারের শব্দ ভেসে আসে। বকুল ও তার বন্ধুরা লুকিয়ে পড়ে। ঝোপের ভেতর থেকে যেন কেঁপে উঠল বকুল।
ঝোপের ভেতর থেকে ভিতু ভঙ্গিতে সে মাথা তুলে তাকায়। নন্দনকানন, মোমিন রোড, বৌদ্ধমন্দির মোড় এবং লাভলেইন পাকিস্তানি মিলিটারিতে সয়লাব হয়ে গেছে। সেদিন প্রথম চট্টগ্রাম শহরে মিলিটারিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে লাগল। ভয়ে জড়সড় হয়ে বকুল ভাবছে সে কীভাবে বাড়ি ফিরবে। এমন সময় কোনো এক গাছের মাথায় বসে একটি পাখি ডেকে উঠল। পাখিটি কথা বলছে অবিকল মানুষের ভাষায়। সেই পাখিটি সুরে সুরে বকুলকে ছড়া শোনায়। বলে ‘ভয় পেয়ো না লক্ষ্মী বকুল/ শত্রু আছে খাড়া/ যেভাবে হোক শত্রুগুলোর/ ভিত ধরে দাও নাড়া...’।
পাখিটি অন্য এক গ্রহ থেকে এসেছে বকুল ও তার দেশকে বাঁচাতে। পাখিটি মুহূর্তেই বিশাল ডানাওয়ালা হয়ে যেতে পারে, আবার নিমেষেই টুনটুনি পাখি হয়ে যেতে পারে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বকুলকে পাখিটি শেখায় কীভাবে বিপদের দিনগুলোতে সাহসের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, কোন কৌশলে শত্রুদের ঘায়েল করা যায় ইত্যাদি। বকুল ও তার রহস্যময় এ পাখির গল্প নিয়ে একটি কিশোর উপন্যাস আছে। একদিন অবসরে বইটি পড়ে নিতে পারো।
বই: আগুন ডানার পাখি
লেখক: রহীম শাহ
প্রচ্ছদ: রজত
প্রকাশনী: প্রতিভা প্রকাশ
মূল্য: ২০০ টাকা