নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে তিন বছর ধরে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জলাশয় দখল করে লাখ লাখ টাকার মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। এতে জলাশয় থেকে মাছ ধরতে পারছে না স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শ্যামপুর কুড় জলাশয় থেকে প্রতিবছর ১০-১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা সম্ভব। পাশের একটি নদী খনন করায় চলতি বছর দ্বিগুণ মাছ হবে। স্থানীয় বাসিন্দা আতিক মিয়া তিন বছর ধরে এটি দখলে রেখে লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এটি উন্মুক্ত করে এলাকার মানুষের মাছ ধরার অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
আতিক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই বছর এই কুড়টি এলাকার লোকজনের কাছ থেকে লিজ নিয়েছিলাম। উল্টো এলাকার লোকজন আমার নামে মামলা করেছে। এবার আমি আড়াই লাখ টাকায় আবার লিজ নিয়েছি। তারা আমার নামে মামলা প্রত্যাহার করলে টাকা দেব, নইলে দেব না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘শ্যামপুর কুড়টি আদালতের রায়ে এলাকাবাসীর অনুকূলে উুন্মুক্ত ঘোষণা হয়। এখন তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আদালতে মামলাও হয়েছে। ঝামেলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের অধীনে আনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হব।’
জানা গেছে, উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত শ্যামপুর কুড়টি ২০০৮ সালে আদালতের রায়ে জনগণের মাছ শিকারের স্বার্থে উন্মুক্ত করা হয়। এর আয়তন ৪ দশমিক ৭২ একর। গ্রামের মানুষেরা শ্যামপুর কুড় নামের জলাশয়টি লিজ দিয়ে সেই টাকার কিছু অংশ গ্রামের মসজিদ-মাদ্রাসায় দানসহ দুস্থদের জন্য ব্যয় করেন। কিন্তু তিন বছর ধরে শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা আতিক মিয়া কুড়টি দখলে নিয়ে মাছ শিকার করেন।
শ্যামপুর গ্রামের মজিবুর রহমান জানান, ‘এলাকার মানুষের দাবিকে তিনি পাত্তা দিচ্ছেন না। এমনকি প্রশাসনও তাঁর কাছ থেকে কুড়টি উদ্ধার করতে পারছে না। প্রতিবছর এখানে ১৫-২০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়। এলাকার মানুষ মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’