কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামী রহিদুল ইসলামকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রহিদুল ইসলাম দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা। হত্যার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। বিবাহের ৯ বছরের পর স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অভাব-অনটনের কারণে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১০ সালের ৬ জুলাই রাত দেড়টার দিকে চড়-থাপ্পড়, মারপিটের পর বালিশচাপা দিয়ে স্ত্রী রঙ্গিলা খাতুনকে হত্যা করেন স্বামী রহিদুল ইসলাম। পরে আশপাশের লোকজন টের পেলে তাদের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর থানা–পুলিশ রঙ্গিলার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ৭ জুলাই নিহতের চাচা দিদার হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৯ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী রহিদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’